পল্লী উন্নয়ন রচনা [সঙ্গে PDF]

মানুষ যে আধুনিক সমাজ ও সংস্কৃতিকে নিয়ে গর্ব বোধ করে, প্রকৃতপক্ষে তার ধারক ও বাহক হল গ্রামীণ সমাজ বা পল্লী সমাজ। উন্নত নগরসভ্যতার মেরুদন্ড সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই পল্লীসমাজের ওপর নির্ভর করেই। তাই দেশের উন্নতির জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন পল্লী উন্নয়ন। এ নিয়ে আমাদের আজকের উপস্থাপন পল্লী উন্নয়ন রচনা

পল্লী উন্নয়ন রচনা

ভূমিকা

আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান
আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে বাঁচাইছে প্রাণ।

-বন্দেআলী মিয়া

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রকৃত আত্মিক সত্তা লুকিয়ে থাকে এখানকার পল্লীসমাজের অন্তঃস্থলে। এসকল গ্রামগুলিই সেই সুদূর অতীতকাল থেকে ভারতবর্ষের নিজস্ব সত্তা ও সংস্কৃতিকে আপন মহিমায় বাঁচিয়ে রেখেছে। এইসকল গ্রামগুলির শস্য-শ্যামলা প্রকৃতির দানেই আমাদের মুখে প্রতিদিনের অন্ন জোটে।

একটি সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে গ্রামই হলো উপমহাদেশের প্রকৃত প্রাণ। কিন্তু বর্তমানে উপমহাদেশের প্রাণস্বরূপ এসকল পল্লীগুলি জীর্ণপ্রায় হয়ে পড়েছে। পূর্বেকার পল্লী সমাজের সেই নিজস্ব সৌন্দর্য এখন আর আগের মতন চোখে পড়ে না।

এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখা দরকার, যে গ্রাম নির্ভর সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশ দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই গ্রামগুলিকে যদি জীর্ণতা স্পর্শ করে তাহলে আদপে দেশের সার্বিক চরিত্রই দুর্বল হয়ে পড়ে। সে কারণে এই সকল গ্রাম বা পল্লী গুলির সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো একান্ত আবশ্যক।

ইতিহাসের উপমহাদেশের পল্লী:

পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনার পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে পল্লী বা গ্রামের প্রকৃত স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা প্রয়োজন। ভারতবর্ষ বরাবরই ছিল একটি পল্লীনির্ভর সভ্যতা। ভারতবর্ষের ইতিহাসে কৃষি ও শিল্প দুইই গড়ে উঠেছিল ভারতবর্ষের গ্রামগুলিকে কেন্দ্র করে। সেই সময়ে এই গ্রামগুলি ছিল এক কথায় স্বয়ংসম্পূর্ণ।

তাছাড়া জীবনযাপনের জন্য মানুষের চাহিদা অত্যন্ত সীমিত হওয়ায় গ্রামের মানুষদের আলাদা করে বাইরে থেকে কোন দ্রব্য আমদানি করবার খুব একটা প্রয়োজন হতো না। বরং ভারতীয় সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র এই গ্রামগুলি থেকেই বিভিন্ন কৃষি ও শিল্পজাত দ্রব্য ভারতের শহরগুলিকে পুষ্ট করত।

সেই সুপ্রাচীন মৌর্য যুগ থেকে মুঘল আমল পর্যন্ত ভারতীয় অর্থনীতির এই ধারা বজায় ছিল। তাছাড়া আর্থসামাজিক ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কারণে প্রতিটি গ্রামের নিজস্ব একটি সাংস্কৃতিক সত্তা গড়ে উঠতো। সমগ্র দেশ জুড়ে অসংখ্য অগণিত গ্রামগুলির ব্যক্তিগত এই সাংস্কৃতিক সত্তাকে মিলিয়েই ভারতের জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করেছিল।

বর্তমান পল্লীসমাজ:

ভারতীয় পল্লী বা গ্রামগুলির স্বয়ংসম্পূর্ণ চরিত্রটি বদলাতে শুরু করে ভারতে ব্রিটিশ আগমনের অব্যবহিত পর থেকেই। ইতিপূর্বে ভারতের গ্রামগুলি ছিল সমগ্র ভারতীয় সভ্যতার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গ স্বরূপ। ব্রিটিশরা সেই সকল গ্রাম বা পল্লীগুলিকে সভ্যতার অঙ্গ হিসেবে না দেখে উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখতে শুরু করলো।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই কালের নিয়মে গ্রাম গুলির উপর শুরু হলো ব্যাপক শোষণ এবং গ্রামগুলি ধীরে ধীরে জীর্ণতার পথে ধাবমান হলো। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পরেও ভারতীয় পল্লীর অবস্থার উন্নতি হয়নি। জাতীয় স্তরে এক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হলেও, সমাজের উচ্চ স্তরে অধিষ্ঠিত শিক্ষিত মানুষের ঔপনিবেশিক মানসিকতা ও ধ্যান-ধারণা গৃহীত সকল উদ্যোগের বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফলে ভারতীয় পল্লী জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হয়েছে। এরপর বিশ্বায়ন পরবর্তী সময়ে  নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা ও যন্ত্র ভিত্তিক উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে গিয়ে উপমহাদেশীয় পল্লীগুলি ব্যাপকভাবে অবহেলিত হয়েছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে সেখানকার আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক চরিত্রে।

সমকালীন বিশ্বের তুলনায় গ্রামগুলি অনুন্নত এবং দরিদ্রতর হয়ে ওঠায় সেখানকার মানুষের শহরমুখীতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ওপর অনুন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রামের মানুষের এই শহরমুখী মানসিকতার পালে আরও হাওয়া যুগিয়েছে।

জাতীয় উন্নতিতে পল্লীর তাৎপর্য:

আজ থেকে প্রায় এক শতক আগে ভারতবর্ষের এক চিরস্মরণীয় মনীষী বলেছিলেন- “ভারতের আত্মা ভারতের গ্রামগুলিতে বাস করে। সেজন্যে ভারতবর্ষের আত্মিক উন্নতির প্রয়োজনে সর্বপ্রথম ভারতীয় পল্লীসমাজের উন্নতি প্রয়োজন।” এই মনীষী আর কেউ নন, ভারতের জাতির জনক নামে পরিচিত মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।

গান্ধীজী মনে করতেন গ্রাম হল ভারতবর্ষীয় সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গ্রামগুলিই সভ্যতার পথে ভারতবর্ষকে টেনে নিয়ে যায়। তিনি তার ‘হিন্দ স্বরাজ’ গ্রন্থে ভারতীয় পল্লীসমাজের সার্বিক মানোন্নয়ন ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে একটি গ্রামকেন্দ্রিক প্রাচ্য সভ্যতার রূপ দিতে চেয়েছিলেন।

তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ভারতবর্ষের এক একটি গ্রাম যদি পুনরায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে, তাহলে জাতীয় ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের আর কোন অভাবই থাকবে না। অন্তত খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতন মানুষের জীবনধারণের প্রাথমিক চাহিদাগুলি ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণ পল্লীসমাজ অচিরেই পূরণ করে দেবে। 

পল্লী উন্নয়ন কি:

বর্তমানে পল্লী উন্নয়ন বলতে বোঝায় গ্রামগুলিকে এগিয়ে যাওয়া আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত করে তোলার প্রক্রিয়াকে। তবে এই উন্নয়নের অর্থ গ্রামগুলির যান্ত্রিক আধুনিকায়ন নয়। আধুনিক নগরসভ্যতার মতন গ্রামগুলির আধুনিকায়ন হলে পল্লী সমাজের ব্যক্তিগত চরিত্রই লোপ পাবে।

বরং এই উন্নয়ন হলো গ্রামগুলিকে জীবনধারণের জন্য প্রাথমিক আধুনিক সুবিধাগুলি দান করে গ্রামের নিজস্ব সম্পদ দ্বারাই গ্রামকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার প্রক্রিয়া। গান্ধীজী ভারতীয় পল্লীসমাজকে এই স্বয়ংসম্পূর্ণতা দানের উদ্দেশ্যে গ্রামগুলিকে সার্বিকভাবে উন্নত করে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।

তার সেই পরিকল্পনার অন্তর্গত একাধিক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম হলো গ্রামগুলিকে স্বায়ত্তশাসন দান, গ্রামগুলিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দান, জীবনধারণের প্রাথমিক প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে গ্রামগুলিকে স্বনির্ভর করে তোলা ইত্যাদি। স্বাধীনতার পর থেকে গান্ধীজীর পরিকল্পনার অন্তর্গত বেশকিছু কর্মসূচিকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হলেও সার্বিকভাবে তার সার্থক রূপদান সম্ভব হয়নি।

উন্নয়নের উপায়:

বর্তমান আধুনিক বিশ্বের নিজস্ব চরিত্র ও সত্তা পূর্বের তুলনায় ব্যাপকভাবে বদলে যাওয়ার ফলে সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পল্লী সমাজের মানোন্নয়নের পরিকল্পনাতেও কিছু প্রাথমিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। পল্লীসমাজের সেই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্যে তেমনি আধুনিক কিছু পরিবর্তন সমন্বিত পরিকল্পনামূলক কয়েকটি উপায় নিম্নে উল্লেখিত হলো।

  • পল্লী সমাজের উন্নতির প্রয়োজনে গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থাকে আরো বিস্তৃতভাবে রূপদান করতে হবে।
  • গ্রামীণ প্রশাসনে স্বায়ত্তশাসনের সাথে সাথে দুর্নীতি রোধের দিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
  • জীবনধারণের প্রাথমিক প্রয়োজনে গ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শহরের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নততর করে তুলতে হবে।
  • গ্রামগুলিতে ব্যাপকভাবে বিদ্যুতায়ন ঘটাতে হবে।
  • গ্রামের মানুষকে নিজস্ব গ্রামীণ ব্যবসা বাণিজ্যে উৎসাহ দান করতে হবে।
  • গ্রামীণ কুটির শিল্প তথা চারুকলা সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবার চেষ্টা করতে হবে।
  • গ্রামই যে ভারতবর্ষের প্রাণ সেই সম্পর্কে গ্রাম তথা শহরের মানুষকে ছেলেবেলা থেকে সচেতন করে তুলতে হবে।
  • গ্রাম গুলির অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার প্রয়োজনে গ্রামীণ কৃষি, বাণিজ্য ও শিল্পকে সার্বিকভাবে উৎসাহদান ছাড়াও প্রয়োজন হলে অর্থনৈতিক সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • পল্লী সমাজের মানুষকে বহুমুখী ভূমিকামূলক বিভিন্ন সমবায় সমিতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে।

গৃহীত কর্মসূচি:

ভারতবর্ষের স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই ভারতীয় পল্লী সমাজের উন্নতি ঘটানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি একে একে গ্রহণ করা হয়েছে। তার সবকটি কে সম্পূর্ণরূপে সফল বলা না গেলেও একেবারে ব্যর্থও বলা যায় না। স্বাধীনতার পর পরই গান্ধীজীর গ্রাম নির্ভর ভারতবর্ষের আদর্শকে মাথায় রেখে সংসদে পাশ করা হয় গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন অধিনিয়ম, যা পরবর্তীকালে পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা নামে খ্যাতি লাভ করেছিল। প্থ

মে রাজস্থান দিয়ে শুরু করে একে একে দেশের প্রতিটি রাজ্য এই ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতবর্ষের পল্লীসমাজকে একটি স্বনির্ভর প্রশাসনিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর বিশ শতকের শেষের দিকে ভারতবর্ষ জুড়ে গ্রাম স্তরে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বিকাশ লাভ করে।

এগুলি ছাড়াও ভারতীয় পল্লীসমাজকে অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যে একে একে স্থাপিত হয়েছে বিভিন্ন ঋণদানকারী ব্যাংক, নাবার্ড-এর মতন কৃষি ব্যাংক ইত্যাদি। এছাড়া গ্রাম স্তরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সমবায় সমিতি যেগুলি স্থানীয় স্তরে পল্লী উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। তাছাড়া কোন বড় বেসরকারি সংস্থা গ্রাম স্তরে বিনিয়োগ করলে সেই সংস্থা সংশ্লিষ্ট গ্রামটির প্রাথমিক উন্নতিকল্পের দিকেও নজর দেয়।  

পল্লী উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জসমূহ:

ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্গত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে পল্লী উন্নয়নের উদ্দেশ্য ঢালাও কর্মসূচি গ্রহণের পথে বেশকিছু চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্ত দেশগুলির আর্থিক সচ্ছলতার অভাব উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সরকারি বরাদ্দের পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

তাছাড়া স্থানীয় স্তর থেকে শুরু করে উচ্চ প্রশাসনিক পর্যায় পর্যন্ত সীমাহীন দুর্নীতি উপমহাদেশীয় পল্লী সমাজের উন্নয়নে বিশেষভাবে বাধা সৃষ্টি করে। সর্বোপরি পল্লীসমাজের মানুষের বিশেষভাবে অন্তর্মুখী মানসিকতা একটি পল্লীসমাজকে বিশ্বায়িত পৃথিবীর সাথে সংযোজিত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্ত প্রতিকূলতাগুলিকে দূর করতে না পারলে একটি দেশের পক্ষে পল্লীসমাজের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়।

উপসংহার:

মানুষ যে সমাজ এবং সংস্কৃতিকে নিয়ে গর্ব করে, তাকে ধারণ ও বহন করে নিয়ে যায় গ্রাম বা পল্লীসমাজ। এই পল্লীসমাজই কোন একটি জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখে এবং প্রতিদিনকার জীবনে তাকে যাপন করে। পল্লীসমাজের উপর নির্ভর করেই বর্তমান যুগের নগর সভ্যতা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

যে নগর সভ্যতার আজ এত দম্ভ ও আস্ফালন, গ্রামীন সমাজ ভিন্ন সেই নগরের অস্তিত্ব কষ্টকল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। সেজন্য একটি দেশের সর্বময় উন্নতির প্রয়োজনে সর্বপ্রথম সেই দেশের পল্লী উন্নয়নের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। পল্লী সমাজের ভিত দৃঢ় না হলে একটি দেশের অবকাঠামো অচিরেই তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়বে।


পল্লী উন্নয়ন রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান। আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার। এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম আমাদের কমেন্ট করে জানান। দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো। সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন