উন্নয়ন বনাম পরিবেশ রচনা [সঙ্গে PDF]

মানুষ যেদিন প্রথম পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল এক পরিবেশ বনাম উন্নয়ন নামের এক মহাযুদ্ধ। প্রকৃতির সকল বাধা বিপত্তি কে অতিক্রম করে মানুষ আজ উন্নতির শিখরে। আর এই উন্নতির দূষণে পরিবেশ আজ অসুস্থ। উন্নতির প্রয়োজন নিঃসন্দেহে কিন্তু নজর রাখা দরকার তা যেন পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর না হয়। এ নিয়েই আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় উন্নয়ন বনাম পরিবেশ রচনা

উন্নয়ন বনাম পরিবেশের একটি ছবি

ভূমিকা:

 মানব সভ্যতার সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে মানুষ নিজের জীবনকে ধারণ করেছে প্রকৃতির ওপর সর্বময় প্রত্যক্ষ নির্ভরশীলতার মাধ্যমে। তবে সময় যত এগিয়েছে সভ্যতার পথে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট নানা বাধা-বিপত্তিকে মানুষ অতিক্রম করবার চেষ্টা করেছে আপন বুদ্ধিবলে। কাল ক্রমে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে তেমনি বহু বাধা-বিপত্তিকে মানুষ জয় করতে সমর্থ হয়েছে।

ঠিক যেমন আদিম যুগ থেকে মাইলের পর মাইল বিস্তৃত বনাঞ্চল পুড়িয়ে মানুষ স্থাপন করেছে নিজের বাসভূমি, গড়ে তুলেছে কৃষিজমি; কিংবা খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য অধিক ফলনের প্রয়োজন হলে কৃষিজমির ওপর প্রয়োগ করেছে রাসায়নিক সার। মানুষ ও প্রকৃতির এই সমীকরনের মধ্যে নতুনত্ব বা অভিনবত্ব কিছু নেই। প্রকৃতির উপর এই শোষণ এবং শাসনের মাধ্যমেই মানব সভ্যতার ক্রমোন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার এত উন্নতি সত্ত্বেও প্রাথমিক জীবন ধারণের প্রয়োজনে আজও পরিবেশের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা কমে কিংবা শেষ হয়ে যায়নি। তাই শুধুমাত্র উন্নয়নের দোহাই দিয়ে পরিবেশের উপর যথেচ্ছাচার আদপে এই সভ্যতারই বিপর্যয় ডেকে আনবে।

উন্নয়নের স্বরূপ:

উন্নয়নের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক কিংবা বিরোধিতাকে বুঝতে গেলে প্রথমে উন্নয়নের স্বরূপকে জানা প্রয়োজন। এটাও জানা প্রয়োজন যে উন্নয়নের সংজ্ঞা কি কোন সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ, নাকি তা আদপে ব্যাপক! সাধারণভাবে উন্নয়ন বলতে আমরা যা বুঝি তা হল অল্প কথায় আমাদের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর এবং আরো উপভোগ্য করে তোলার ধারাবাহিক প্রয়াস।

বর্তমানকালে আমাদের বস্তুমূলক ভোগবাদী জীবনে আমরা মনে করে থাকি জীবনের বস্তুমূলক ভোগ যত বেশি হয় সমাজের সার্বিক উন্নয়নও ততটাই বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমাদের এই উন্নয়নের ধারণা যথার্থ নয়। উন্নয়নের প্রকৃত সংজ্ঞা বরং এর উল্টোটাই। যদি আমরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করি যে মানব জীবনের উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত; তাহলে সহজ কথায় উত্তর আসে ধারণ, পালন ও সংরক্ষণ।

অর্থাৎ নিজেদের প্রাপ্ত জীবনকে সরল ভাবে ধারন, নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সযত্ন পালন এবং আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদের যথাসম্ভব সংরক্ষণ। জীবনের এই তিনটি অঙ্গের মধ্যে যথার্থ সুসাম্য বজায় রেখে চলার নামই উন্নয়ন। সুতরাং এই আলোচনা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় উন্নয়নের প্রকৃত সংজ্ঞা কোন সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নয়, বরং তা অত্যন্ত গভীর এবং ব্যাপক। জীবনের এই গভীর এবং ব্যাপক দিকটির কথা অনতিবিলম্বে আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

পরিবেশের সাথে বিরোধ:

সাধারণভাবে উন্নয়নের ব্যাপকতার সংজ্ঞা অনুযায়ী পরিবেশের সাথে এর কোন বিরোধ থাকা উচিত নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উন্নয়নের সংজ্ঞাকে আজ আমরা আমাদের ভোগবিলাসী মানসিকতার সংকীর্ণতায় আবদ্ধ করে ফেলেছি। এই মানসিকতা মানুষকে শুধুমাত্রই ধারণ করতে শেখায়; পালন এবং সংরক্ষণ মোটেই শেখায় না। শুধুমাত্র ধারণের আদর্শকে মানুষ যখন জীবনের উদ্দেশ্য বলে মনে করে, তখন মানুষের সামনে একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে জাগতিক ভোগবিলাস।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যখন সমগ্র সমাজ এগিয়ে যায়, তখন সেই পথে যা কিছু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মানুষ সেটাকে অতিক্রম বা প্রভাবিত করবার চেষ্টা করে থাকে। তা সে মহা মূল্যবান অরণ্য, জীবনদায়ী বাতাস কিংবা জল; যা-ই হোক না কেন। তবে মনে রাখা দরকার ভোগ বিলাসের উন্মত্ততায় মানুষ যতই মেতে উঠুক না কেন পরিবেশ ছাড়া আজও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ তথা সমগ্র সভ্যতা চূড়ান্ত অসহায়। তাই পরিবেশের ক্ষতি করা সমগ্র সমাজের ক্ষতি করার সমার্থক।

এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সর্বপ্রথম ব্যাপক ভোগবাদী মানসিকতা থেকে নিজেদের স্বার্থেই আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনধারণের জন্য যেটুকু উপাদান আমরা ব্যবহার করি তা প্রকৃতপক্ষে আমাদের চারপাশের পরিবেশের সম্পদেরই নানা রূপ। তাই জীবনকে ধারণের জন্য সেই পরিবেশের সংরক্ষণ একান্ত আবশ্যক।

পরিবেশে উন্নয়নের ইতিহাস:

সভ্যতার সূচনা লগ্নে প্রকৃতপক্ষে উন্নয়ন ও পরিবেশ পৃথকভাবে আলোচনার বিষয় ছিল না। সেই সময় সম্পূর্ণরূপে পরিবেশের ওপর নির্ভর করেই সভ্যতার উত্থান তথা উন্নয়ন সাধিত হতো। এমনভাবেই কালের নিয়মে মানুষ যখন তার জীবনের প্রাথমিক চাহিদাটুকু অতি সহজেই মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়, তখন সে জীবনকে আরো বেশি সহজ এবং উপভোগ্য করে তুলতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। বস্তুমূলক ভোগবাদী মানসিকতার সূচনাও এখানেই।

এই মানসিকতার উত্থানের মুহূর্তেই মানুষ মানুষ ভুলে যেতে থাকে যে এই প্রকৃতি ও পরিবেশই সভ্যতার প্রকৃত ধারক ও বাহক। মানুষ ভুলে যায় যে, ধারক ও বাহক এর উপরে যথেচ্ছাচার জীবনকে সাময়িকভাবে ভোগ বিলাসের ব্যাপক উপকরণ জোগাতে পারলেও, এর দীর্ঘমেয়াদি ফল ভয়ঙ্কর। সেই চরম হঠকারিতার লগ্ন থেকেই সম্ভবত উন্নয়ন এবং পরিবেশের মধ্যে পরস্পর বিরোধিতার সূচনা ঘটে। 

আধুনিক পৃথিবীতে উন্নয়ন বনাম পরিবেশ:

ইতিহাসের সাথে সময় যত এগিয়ে চলে মানুষের হঠকারী ভোগবাদী মানসিকতা কমার বদলে ক্রমেই গগনচুম্বী আকার ধারণ করতে থাকে। পরিবেশের সম্পদের প্রতি মানুষের নির্মম লোভ তাকে চালিত করে প্রকৃতির ওপর ব্যাপক যথেচ্ছাচারে। বিজ্ঞানের উন্নতিতে একের পর এক জাগতিক ভোগ-বিলাসের নতুন নতুন দুয়ার খুলে যেতে থাকে।

পৃথিবীর বুকে স্থাপিত হতে থাকে লক্ষ লক্ষ কল কারখানা। বিজ্ঞানের উন্নতির দোহাই দিয়ে প্রকৃতির নানা প্রাণীর উপর শুরু হয় ইচ্ছেমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এখন আর আগেকার মত শুধুমাত্র বন জঙ্গল সাফ করে বসতি স্থাপনে মানুষ উদ্যোগী হয় না; বর্তমানে তার লক্ষ্য সুদূর মহাশূন্য তথা সৌরজগৎ। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য বর্তমান জীবনের ধারক ও বাহক পরিবেশকে বিষিয়ে ফেলতেও মানুষ পিছপা হয় না।

খুব স্বাভাবিক ভাবেই পরিবেশও সভ্যতার প্রতি বিরূপ আচরণ করতে থাকে। পরিবেশের প্রতিকূল এই অবস্থাকে নিজের অনুকূলে আনার জন্য মানুষ আরো বেশি কৃত্তিমতার মুখাপেক্ষী হয়ে ওঠে। স্বভাবতই সমগ্র পরিবেশ আরো বিষিয়ে যায়; পরিবেশ ও উন্নয়নের বিরোধিতা তীব্রতর হয়ে ওঠে।

ফলাফল:

মানুষের ভোগমূলক জীবনের উন্নয়নের সাথে পরিবেশের এই ক্রমবিরোধিতায় বলি হয় সভ্যতা তথা স্বয়ং মানুষ। এই অদ্ভুত পরিস্থিতিতে একদিকে প্রকৃতি যেমন ধ্বংস হয় তেমনি মানব সভ্যতার ভিত্তিমূলেও ফাটল ধরে যায়। পৃথিবীর বুকে সভ্যতার উন্নয়ন হেতু লক্ষ লক্ষ কর কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া, বীজাণু পরিবেশে মিশে পরিবেশকে মানুষের বসবাসের অযোগ্য করে তোলে।

জলজ সম্পদের উপর মানুষের যথেচ্ছাচার জলচর প্রাণীদের অস্তিত্বকে সংকটের মুখে ফেলে দেয়। সর্বোপরি সমগ্র প্রাণী সম্পদের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রনহীন শোষণ সমগ্র পরিবেশের ভারসাম্যকেই একরকম ওলট-পালট করে দিতে থাকে। এর সরাসরি প্রভাব এসে পড়ে মানুষেরই সভ্যতার ওপরে।

তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে পরিবেশ আমাদের জীবনের অংশ নয় বরং আমরা এই বিশাল পরিবেশের একটি অঙ্গ মাত্র। তাই নিজেদের কে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে সর্বপ্রথম পরিবেশের পরিচর্যা একান্ত আবশ্যক। 

পরিবেশ ও উন্নয়নের সহাবস্থান:

বর্তমানকালে আজকের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পরিবেশ এবং উন্নয়নের সহাবস্থানের ধারণাকে আকাশকুসুম কল্পনা বলে মনে হলেও তা একেবারেই অবাস্তব ও অসম্ভব নয়। পরিবেশ এবং উন্নয়নের আজকের সম্পর্ক পরস্পর বিরোধী বা ব্যস্তানুপাতিক হলেও সৃষ্টির আদিতে তা একেবারেই এই রকম ছিল না। গভীরভাবে ভাবলে আজও আমরা বুঝতে পারবো যে এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও পরিবেশের উপর মানুষের প্রাথমিক নির্ভরশীলতা ঠিক কতখানি।

তবে একথাও সত্য যে বর্তমানকালের এই সর্বময় বৈজ্ঞানিক উন্নতির যুগে আদিম নিয়ম অনুযায়ী পরিবেশের সঙ্গে মানুষের আদিম সম্পর্কে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।  সর্বোপরি মানুষের জীবনকে চারপাশ থেকে ঘিরে থাকা ভোগবিলাসের এই ব্যাপক উপকরণকেও এক কথায় অস্বীকার করা প্রায় অসম্ভব। তবে যা সম্ভব তা হল, আত্মস্বার্থ অনুযায়ী প্রয়োজনীয়তার উপলব্ধি এবং প্রাসঙ্গিক ত্যাগ স্বীকার।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে আজকের উন্নয়ন ততটাই হওয়া উচিত যতটা না হলেই নয়। মনে রাখতে হবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত উন্নয়ন আমাদের আত্মস্বার্থেরই পরিপন্থী। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক শোষণের পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি পূরণ করার বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার।

উদ্যোগ:

আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্যোগ:

পৃথিবী জুড়ে আজ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা পরিবেশ ও উন্নয়নের পরস্পরবিরোধীতার ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে সহাবস্থানের ধারণাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। তাই আজকে সমগ্র বিশ্বজুড়ে গুরুত্ব পাচ্ছে প্রাসঙ্গিক যুগোপযোগী উন্নয়ন বা sustainable development এর ধারণা।

এই ধরনের উন্নয়নের মূল কথা হলো বর্তমানকালে সভ্যতার উন্নয়নের চাকাকে এমনভাবে চালিত করতে হবে যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক উন্নত জীবন তথা সুন্দর পরিবেশের স্বাক্ষর হয়ে থাকবে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই উদ্যোগকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলার জন্য স্থাপিত হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক তথা মহাদেশীয় সংস্থা। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জও এই ব্যাপারে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে চলেছে। 

জাতীয় স্তরে উদ্যোগ:

আন্তর্জাতিক স্তরের পাশাপাশি পৃথিবীর উন্নত তথা উন্নয়নশীল দেশগুলি জাতীয় স্তরেও বর্তমানকালে যুগোপযোগী উন্নয়নের ধারণাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিচার করছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্প গুলির উপরেও এর প্রভাব লক্ষণীয়। উন্নত দেশগুলি sustainable development এর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে দেশজুড়ে সামাজিক তথা আইনি সংস্কারের ব্রতী হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বহু পিছনে পড়ে রয়েছে পৃথিবীর অনুন্নত দেশগুলি। 

উপসংহার:

দীর্ঘ এই আলোচনার শেষে একথা সহজেই অনুধাবন করা যায় যে ‘পরিবেশ বনাম উন্নয়ন’ নয়, বরং ‘পরিবেশ এবং উন্নয়ন’- ই আমাদের সভ্যতার সার্বিক উন্নতির জন্য কাম্য। পরিবেশের সাথে সহাবস্থান ছাড়া মানব সভ্যতার টিকে থাকা অসম্ভব। এই প্রয়াসে শুধুমাত্র জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগই যথেষ্ট নয়।

এসবের সাথে যোগ হওয়া প্রয়োজন পৃথিবীজুড়ে প্রত্যেকটি মানুষের আত্মোপলব্ধি এবং সেই অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক ত্যাগ স্বীকার। নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার প্রয়োজনে মানুষকে অনতিবিলম্বে এই মহান প্রয়াসে উদ্যোগী হয়ে উঠতে হবে।


উন্নয়ণ বনাম পরিবেশ রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার। এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন