ছাত্র সমাজ ও রাজনীতি বা ছাত্রজীবনে রাজনীতি রচনা [সঙ্গে PDF]

ছাত্ররাজনীতি আসলে ভালো নাকি মন্দ তা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে বিগত এক শতাব্দী ধরে রাজনীতির নামে যত বর্বরতা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে ছাত্ররাই মুখরিত হয়ে উঠেছে। আবার এই ছাত্র রাজনীতির কারণেই নষ্ট হয়েছে কত প্রতিভাময় সম্ভাবনা। ছাত্রজীবনে রাজনীতির ভালো, খারাপ, ইতিহাস পর্যলোচনা করে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় ছাত্র সমাজ ও রাজনীতি বা ছাত্রজীবনে রাজনীতি রচনা

কিছু প্রতিবাদী ছাত্রদের ছবি

ভূমিকা:

মানুষের জীবনকে এক লহমায় দেখতে গেলে দেখা যাবে এই সমগ্র জীবন কয়েকটি বিশেষ পর্যায়ে বিভক্ত। প্রত্যেকটি পর্যায়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে সুনির্দিষ্ট কর্তব্য রয়েছে। সেই কর্তব্য গুলি যথাযথভাবে পালন করতে পারলে তবেই একটি মার্জিত জীবনের অধিকারী হওয়া সম্ভব। আমাদের জীবন কর্মের উপর ভিত্তি করে আবর্তিত হয়। যথাসময়ে যথার্থ কর্মই মানুষের পরবর্তী জীবনকে সুখী করে তোলে।

জীবনের এই পর্যায়ে গুলির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যায়টি হল মানুষের ছাত্র জীবন। এই ছাত্রজীবনে মানুষ শেখে চিন্তা করতে, নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনন্ত সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করে ভবিষ্যৎ জীবনকে গড়ে তুলতে। তবে এসবের পাশাপাশি এও মনে রাখা দরকার যে আমাদের সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় জীবনে রাজনীতির একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। রাজনীতিহীন হয়ে আধুনিক পৃথিবী চলতে পারে না।

আমাদের এই ছাত্র সমাজ হল পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। তাই জীবনের হাতেখড়ির পর্যায় থেকে সেই ছাত্রসমাজ যদি রাজনীতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ থাকে তাহলে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এর চাকার গতিও শ্লথ হয়ে যাবে। আবার ছাত্রজীবনে রাজনীতির অতিরিক্ত প্রভাব এই পর্যায়ের মূলমন্ত্র ‘ছাত্রনং অধ্যয়নং তপ’ -কেও ব্যাহত করে। তাই জীবনের এই পর্যায়ে রাজনীতি এবং ছাত্রনীতির মধ্যে একান্ত সুসাম্য বজায় রেখে চলাই বাঞ্ছনীয়। 

ছাত্রজীবনের স্বরূপ:

প্রবন্ধের সূচনা পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে ছাত্র জীবন হলো মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জীবনের এই পর্যায় হলো জীবনকে প্রকৃত রূপে গড়ে তোলার কারিগর। এই কারিগরের কার্যক্রম ব্যাহত হলে জীবন গড়ে উঠতে পারে না। ছাত্রজীবনের এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই প্রাচীনকালে ভারতীয় শাস্ত্রে ছাত্রজীবনে কঠোর ব্রহ্মচর্য পালনের কথা বলা হয়েছিল।

প্রাচীনকালে ছাত্রগণ চতুরাশ্রমের প্রথম এই পর্যায়ের নীতি অনুযায়ী গুরুগৃহে থেকে কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে বিদ্যা চর্চা করতেন। তবে কালের নিয়মে সমাজের সার্বিক চরিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানকালে প্রাচীনযুগের ব্রহ্মচর্যের মত ছাত্র জীবন আর তেমন কঠোরতার বন্ধনে আবদ্ধ নেই। সময়ের সাথে সাথে বর্তমান ছাত্রজীবনে মুক্তচিন্তার বিকাশ এর উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবে ছাত্র জীবনের মূল চরিত্রও গিয়েছে আমূল বদলে। কিন্তু পাশাপাশি এও মনে রাখা দরকার মানুষের ছাত্রজীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য আজও পরিবর্তিত হয়নি। প্রাচীনকালের মতই বর্তমান ছাত্রজীবনও জীবন গড়ার কারিগর রূপেই প্রতিভাত হয়। তাই সেই প্রকৃত উদ্দেশ্য যাতে সাধিত হয়, মূল লক্ষ্যে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখা আমাদের একান্ত কর্তব্য।

রাজনীতির স্বরূপ:

রাজনীতি শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে যা দাঁড়ায় তাহলে রাজার নীতি। তবে এই শব্দটির প্রকৃত অর্থ ‘রাজার নীতি’ শব্দদ্বয়ের সংকীর্ণ বেড়াজালে আবদ্ধ নয়; বরং তা অত্যন্ত ব্যাপক। সমাজ জীবনে রাজনীতি বলতে প্রকৃত অর্থে যা বোঝায় তা হল কূটনীতি। বিশ্বজুড়ে বিশিষ্ট চিন্তাবিদদের মতে এই পৃথিবীতে রাজনীতিহীন হয়ে কোন কিছু অস্তিত্বশীল থাকতে পারেনা।

পরিবারের সামান্যতম খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে দেশ তথা আন্তর্জাতিক বিশ্বের নানা নীতি নির্ধারণ, সবকিছুর সাথে রাজনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এই পৃথিবীতে রাজনীতি নিয়েও বিশেষ আলোচনা তথা অধ্যায়নের প্রয়োজন আছে। সর্বোপরি ছাত্র সমাজ আমাদের পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। সেজন্যে তাদেরকে সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সচেতন করে গড়ে তুলতে পারলে তবেই একটি সুন্দর বিশ্ব তৈরি করা সম্ভব। 

সমকালীন প্রেক্ষাপটে রাজনীতি ও ছাত্রজীবন:

সময়ের সাথে সাথে ছাত্র জীবনের মূল চরিত্র যেমন বদলেছে তেমনি বদল ঘটেছে রাজনীতির সার্বিক চরিত্রেও। আধুনিক যুগে মানুষের জীবন থেকে নৈতিকতা ধীরে ধীরে লোপ পাওয়ার ফলে, রাজনীতিও নৈতিকতাহীন এবং অন্তঃসার শূন্য হয়ে পড়েছে। নৈতিকতাহীন অজস্র মানুষ আঞ্চলিক, জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক রাজনীতির চালক হয়ে আজ সমগ্র রাজনৈতিক জগতকে চালিত করছেন।

তাই অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমানকালে রাজনীতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে দুর্নীতির পঙ্কিলশয্যায় পতিত হয়েছে। সেই পঙ্কিল শয্যায় পা ডুবিয়ে পদ্ম ফুলের বীজ রোপন করতে আজ আর কেউই আগ্রহী নয়। তাই দেশের ভবিষ্যৎও আজ অন্ধকারের দিকে ধাবমান। শুধু তাইই নয়, বর্তমান যুগে পঙ্কিল রাজনীতির সীমাহীন দুর্নীতি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে সমাজের প্রতিটি অংশকে।

ছাত্র সমাজও এর ব্যাতিক্রম নয়। ফলে এই দুর্নীতির গ্রাসে একটি ছাত্রজীবনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার কারণে বিশ্বের জ্ঞানমূলক ভবিষ্যৎও সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। একদিকে দেশজুড়ে রাজনৈতিক সংকট অন্যদিকে সামাজিক ও নৈতিক সংকট; এই উভয় সংকটে আদপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশ তথা জাতির ভবিষ্যৎ।

ছাত্র জীবনে রাজনীতির প্রভাব:

ছাত্রজীবনে রাজনীতির প্রভাব অত্যন্ত সুদুরপ্রসারী। রাজনীতির প্রভাবে প্রভাবিত আজ প্রায় সমগ্র বিশ্বের ছাত্রসমাজ। এর মধ্যে অন্যতম হলো তৃতীয় বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলি। এসব দেশ গুলিতে ছাত্র সমাজের উপর রাজনীতির প্রভাব অতিমাত্রায় সুস্পষ্ট। বিশেষভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে যেখানে সকলের সংগঠন করবার অধিকার স্বীকৃত, সেইখানে ছাত্রসমাজ এই রাজনীতির দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।

বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই স্কুল জীবন থেকে ছাত্রদের শিকার হতে হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যেকার দলীয় রাজনীতির। বিদ্যালয় জীবনে এই ধরনের রাজনৈতিক প্রবণতা ছাত্রদের জীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সরল মনের ছাত্র-ছাত্রীদের হৃদয়ে রাজনৈতিক জটিলতার বীজ বপন হলে সেই বীজ তাদের ভবিষ্যতের মহীরুহকে বেড়ে ওঠার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়া ভারতবর্ষের কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রাজনৈতিক উত্থান পতনের কথা সারা পৃথিবীতে সুবিদিত। এই সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ছাত্র জীবনের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে সেই প্রভাব এসে পড়ে সমগ্র ছাত্র সমাজের মূল ভিত্তির উপর।

ছাত্রজীবনে রাজনীতির উপকারিতা:

শুনতে খানিকটা আশ্চর্যজনক লাগলেও ছাত্রজীবনে রাজনীতির বেশ কয়েকটি উপকারী দিকও বর্তমান। আসলে এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি জিনিসেরই ক্ষতিকর এবং উপকারী দুই দিকই রয়েছে। রাজনীতিও তার ব্যতিক্রম নয়। তেমন দিকগুলির কথাই নিম্নে আলোচনা করা হল। 

  • রাজনীতি ছাত্রসমাজকে তার সমকালীন আর্থসামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত করে তোলে। 
  • রাজনীতির মাধ্যমেই বাইরের পৃথিবীর সাথে ছাত্রসমাজের যোগসুত্র রচিত হয়।
  • বহির্বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার ব্যাপারে ছাত্রসমাজ সচেতন হয়ে ওঠে। 
  • সুচিন্তিত ও মার্জিত রাজনীতি ছাত্রসমাজের চরিত্র গঠনেও সাহায্য করতে পারে।
  • তাছাড়া যেহেতু রাজনীতি এ পৃথিবীর অন্যতম সামাজিক চালিকাশক্তি, তাই ছাত্রসমাজ রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে নিজেদেরকে সেই চালিকা শক্তির সাথে যুক্ত করতে পারে।
  • রাজনীতিতে ছাত্র সমাজের অংশগ্রহণ তাদের মধ্যে থেকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে তুলে আনে।
  • জীবনের প্রাথমিক পর্যায় থেকে রাজনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতা ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে বলিষ্ঠ এবং পরিণত করে।
  • সর্বোপরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই ছাত্রসমাজ তাদের দাবীদাওয়া ও মতামতকে সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে পারে।

আধুনিক বিশ্বে রাজনীতির অবক্ষয়:

সুস্থ স্বাভাবিক রাজনীতির উপকারিতার কথা সমাজে বহুচর্চিত হলেও, বর্তমানকালে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুস্থ স্বাভাবিক রাজনীতির উপযুক্ত নেই। আধুনিক বিশ্বে ক্রমেই ঘটে চলেছে মানুষের মূল্যবোধের ব্যাপক অবক্ষয়। সেই অবক্ষয়ের প্রভাব এসে পড়ছে রাজনীতিতেও। তাছাড়া বহুদলীয় রাজনীতি তথা ক্ষমতার প্রতি লালসার ব্যাপক বাড়বাড়ন্তের যুগে সমাজে নীতি-আদর্শের যথেষ্ট অভাব দেখা দিয়েছে।

দেশ তথা রাজ্যের উচ্চস্তরের নেতাদের ব্যাপক দল পরিবর্তন ছাত্র সমাজকে প্রকৃতপক্ষে বিভ্রান্তির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এই বিভ্রান্তির বশবর্তী হয়ে ছাত্রসমাজও রাজনীতির দ্বারা নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থ করতে উদ্যোগী হচ্ছে। ফলে যত সময় এগোচ্ছে ততোই রাজনীতি সমাজ জীবনে তার উচ্চতর আসন থেকে দুর্নীতির পঙ্কশয্যায় নিমজ্জিত হচ্ছে।

ছাত্রজীবনে রাজনীতির ক্ষতিকর দিক:

বর্তমান যুগে রাজনীতির ব্যাপক নৈতিক অবক্ষয়ের ফলে ছাত্র সমাজের উপর এর উপকারিতাগুলি গৌণ হয়ে ক্ষতিকর দিকগুলিই প্রকট রূপে প্রতিভাত হচ্ছে। তারই মধ্যে অন্যতম কয়েকটির কথা নিম্নে আলোচিত হল। 

  • আধুনিক বিশ্বে রাজনীতির ব্যাপক নৈতিক অবক্ষয় ছাত্রসমাজের চরিত্রগঠনের বদনে তাদের ক্রমশই দুর্নীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে সমাজের বহু সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত অসৎ চরিত্রের অধিকারী হয়ে গড়ে উঠছে। 
  • শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির ব্যাপক প্রবেশ সেখানকার শিক্ষার সুস্থ পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। 
  • বহু ক্ষেত্রে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির ফলে বহু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে। 
  • দলীয় রাজনীতির বলি হয়ে বহু ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
  • এরইমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ চিরাচরিত রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়ে উগ্রপন্থাকে বেছে নিচ্ছে। যার সুযোগ নিচ্ছে পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন অসাধু মানুষ ও সংস্থা। তারা নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছাত্র সমাজকে আরো বেশি করে উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ভারতবর্ষের মতো দেশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। 

সমাধান সূত্র:

বর্তমানকালে ছাত্রজীবন তথা শিক্ষাঙ্গনে অবক্ষয়িত রাজনীতির প্রবেশ যে অসুস্থ পরিবেশের সৃষ্টি করছে অবিলম্বে তার প্রতিকার আবশ্যিক। সেই প্রতিকার হেতু কয়েকটি সমাধান সূত্রের কথা আলোচনা করা হলো।

  • ছাত্র সমাজকে আরো বেশি নৈতিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
  • বিদ্যালয় স্তর থেকে রাজনীতিকে সম্পূর্ণরূপে অপসারিত করতে হবে।
  • শিক্ষকদের নিজেদের রাজনৈতিক প্রবণতা সম্পর্কে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।
  • উচ্চশিক্ষার অঙ্গন থেকে যথাসম্ভব দলীয় রাজনীতিকে অপসারিত করতে হবে। 
  • সুস্থ রাজনীতির প্রসারের উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের দ্বারা তাদের সচেতন করে তোলার দিকেও জোর দিতে হবে।

উপসংহার:

রাজনীতি এবং ছাত্র সমাজ দুইই আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য এবং অন্যতম প্রধান অঙ্গ। জীবনের এক পর্যায়ে গিয়ে ভাবলে এই দুই অঙ্গ পরস্পর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের সম্পূর্ণ পৃথকীকরণ একপ্রকার অসম্ভব এবং তার প্রয়োজনও নেই। সেজন্য শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির অপসারণের থেকে আমাদের বেশি জোর দিতে হবে মানুষের মূল্যবোধ গড়ে তোলার দিকে।

নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে উঠলে রাজনীতি যখন পরিমার্জিত হবে তখন নিজে থেকেই ছাত্রজীবনে রাজনীতির ক্ষতিকর দিকগুলি অপসারিত হবে। ছাত্র সমাজ তখন বিদ্যাচর্চা, নৈতিক শিক্ষা তথা রাজনৈতিক সচেতনতা দ্বারা নিজেদের বলিষ্ঠ চরিত্র গড়ে তুলে ভবিষ্যতে দেশ তথা পৃথিবীকে সুযোগ্য নেতৃত্ব দানের উপযুক্ত হয়ে উঠবে।


ছাত্র সমাজ ও রাজনীতি বা ছাত্রজীবনে রাজনীতি রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার। এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন