অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে ভাবসম্প্রসারণ [PDF]

banglarachana.com এ আপনাকে স্বাগত জানাই।পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা সিলেবাসের সমস্ত ব্যাকরণ, গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা, পত্রলিখন pdf সহকারে পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন। নিয়মিত নতুন নতুন লেখা আপডেট করা হয় এখানে।

আমাদের ছোটবেলা থেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত “নৈবদ্য” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “ন্যায়দণ্ড” কবিতার দুই লাইন আমাদের অভিভাবক বা শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে বার বার শুনেছি।সেই লাইন দুটি হল “অন্যায় যে করে অন্যায় যে সহে; তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে”। এই লাইন দুটির মধ্যে অনেক ভাব অন্তর্নিহিত রয়েছে।সেই ভাবকে যথাযথ ভাবে সরল ভাষায় তুলে ধরায় আজকের উপস্থাপন – “অন্যায় যে করে অন্যায় যে সহে; তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে।”এর ভাবসম্প্রসারণ।

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে ভাবসম্প্রসারণ

সমাজকে যারা শোষণ করে,ব্যাক্তি অধিকারকে হরণ করে,দেশের আইনশৃঙ্খলা মানেনা তারা নিঃসন্দেহে অপরাধী।অপরাধের মাত্রা অনুসারে অপরাধীর বিচার করা হয়।সেই মতো সে শাস্তি পায়।এই বিচার ব্যবস্থায় শুধুমাত্র অপরাধীই দণ্ড যোগ্য বলে বিবেচিত।প্রশ্ন এখানেই,অপরাধের পাপ কি শুধু অপরাধীর।অন্যায়কে যারা দিনের পর দিন মুখ বুজে সহ্য করে,তারাও কি পরোক্ষভাবে পাপকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেনা,এই মৌল প্রশ্নই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

মানবসমাজ ভীষণ বিচিত্র। মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে রয়েছে অপরাধ প্রবণতা,তেমনই সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের রয়েছে অন্যায়কে মেনে নিয়ে চলার মানসিকতা।এমন মানসিকতার জন্য ক্ষমাশীলতা,কতখানি ঔদার্য,আর কতখানি সহনশক্তি প্রয়োজন তা পরিমাপ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার।নিজেকে অপরাধীর থেকে দূরে সরিয়ে রাখাকে মানুষ সততা বলে মনে করে।মানুষের এধরনের মানসিকতায় পরোক্ষ ভাবে অপরাধীদের সাহস জুগিয়েছে।

সাধারণ স্বার্থ ভীরু মানুষ চোখের সামনে ঘটে চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠতে ভয় পায়।যার ফলে দিন দিন অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে।আমাদের সমাজে অন্যায়কারী ঘৃণিত হলেও সেই সহ্য করা মানুষ গুলো ঘৃণিত বলে বিবেচিত হয় না।মানুষের ন্যায় অন্যায় সম্পর্কে এধরনের চেতনাও সম্পূর্ণ ভ্রান্ত।

অন্যায়কারীর মতো অন্যায় সহ্যকারীরাও সম অপরাধে অপরাধী।কবি কল্পনা করেছেন,বিশ্ব বিধাতার কাছে ঘৃণার রুদ্র রোষানলে অন্যায়কারীর মতো অন্যায় সহ্যকারীরাও বিশুষ্ক তৃণের মতো ভস্মীভূত।মানব সমাজের স্থূল বিচারে অন্যায় সহ্য যারা করে চলেছে তারা নিরপরাধী প্রমাণিত হলেও নিখিল বিশ্ব মানবতার দরবারে তাদের অপরাধের কোনো রেহাই নেই।


“অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।” ভাবসম্প্রসারণ এর দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।বানান ভুল থাকলে কমেন্ট করে শুধরে দেওয়ার সুযোগ করে দিন।নিয়মিত নতুন নতুন লেখার আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।ধন্যবাদ।।

Print Friendly, PDF & Email

Rakesh Routh

আমি রাকেশ রাউত, পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলায় থাকি। মেকানিকাল বিভাগে ডিপ্লোমা করেছি, বাংলায় কন্টেন্ট লেখার কাজ করতে ভালোবাসি।তাই বর্তমানে লেখালেখির সাথে যুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

 

Recent Posts