জীবনের মূল্য আয়ুতে নহে,কল্যাণ পুত কর্মে ভাবসম্প্রসারণ [PDF]

banglarachana.com এ আপনাকে স্বাগত জানাই।পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা সিলেবাসের সমস্ত ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ রচনা,ভাবসম্প্রসারণ,চিঠি ইত্যাদি PDF সহকারে পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন। নিয়মিত নতুন নতুন লেখা আপডেট করা হয় এখানে।নতুন নতুন লেখার আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য নোটিফিকেশন পারমিশন দিন।আজকের নতুন উপস্থাপন – “জীবনের মূল্য আয়ুতে নহে,কল্যাণ পুত কর্মে।”ভাবসম্প্রসারণ।

মানুষের কাছে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার চেয়ে প্রার্থিত আর কিছু নেই।সকলেই বেশি দিন বাঁচতে চায়,সকলেরই কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা এক দীর্ঘায়িত জীবন।তবুও সবাইকেই একদিন মৃত্যুর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।জীবন যতই দীর্ঘ হোক না কেনো একদিন তার অবসান ঘটবে।সীমাহীন কালের মধ্যে এই যে চৈতন্যময় ক্ষুদ্র পর্যায়টি যা জীবন নামে পরিচিত তার সার্থকতার সঠিক মূল্যায়ন আমরা কিভাবে করবো?

কোথায় মানব জীবনের সার্থকতা?জীবনের সার্থকতা কি বেঁচে থাকার সময়সীমার উপর নির্ভর করে?মানুষ বেঁচে থাকে শুধু তার আয়ু দিয়ে নয়,তার কর্মের মাধ্যমে।একজন মানুষ কতদিন বেঁচেছেন সেটি বিচার্য বিষয় নয়,মানুষের জন্য সমাজের জন্য তিনি কি করে গিয়েছেন সেটিই প্রধান বিবেচ্য বিষয়।অসংখ্য মানুষের কল্যাণ কর্মে নিখিল বিশ্বের মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে।

এই কল্যাণ কর্মে কার ভূমিকা কতখানি তার ওপর নির্ভর করে তার জীবনের সার্থকতা। স্যার এ.পি. জে আব্দুল কালাম,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাদার তেরেসা,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ – এনারা কত দিন বেঁচে ছিলেন সে কথা জানার মূল্য আজ আর নেই কিন্তু কিন্তু মানব কল্যাণে সমাজে এনাদের অবদান স্মরণ করলে শদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে।কল্যাণ পুত কর্ম প্রবাহিত হতে থাকে পরবর্তী প্রজন্ম ধারায়।মানুষের ভালো চেয়ে যাঁরা নিজেদের জীবন ব্যয়িত করেন তাঁরাই শ্রেষ্ঠ মানুষ,তাদের জীবনই সার্থক।তাদের জীবনের সার্থকতার মাপকাঠি আয়ু নয়।একমাত্র মহৎ কর্মই মানুষকে অমর করে রাখতে পারে।


জীবনের মূল্য আয়ুতে নহে,কল্যাণ পুত কর্মে।ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে আশা করি বুঝতে পেরেছেন একটি লাইন কতখানি গভীর বার্তা বহন করতে পারে।লেখার গুণগত মান উন্নয়নে আপনার মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান। সম্পূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ টি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন