স্বেচ্ছায় রক্তদান রচনা [সঙ্গে PDF]

কোনো মানুষের বিপদে তার পাশে দাঁড়ানো ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া একজন আদর্শ মানুষের পরিচয়। প্রতি মুহূর্তে একবিন্দু রক্তের জন্য জীবনযুদ্ধে পরাজিত হচ্ছে কতশত মানুষ, স্বেচ্ছায় রক্তদান করার মধ্য দিয়ে আমরা এদের প্রাণ বাঁচাতে পারি। আমাদের স্বেচ্ছায় রক্তদানের পরিবর্তে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব এ নিয়েই আমাদের আজকের উপস্থাপন স্বেচ্ছায় রক্তদান রচনা

স্বেচ্ছায় রক্তদান  ছবি

ভূমিকা:

“আপনার রক্তে বাঁচলে একটি প্রাণ,
এই পৃথিবীতে আপনিই ভগবান।।”

মানব সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই মানুষ পরস্পর পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতার মাধ্যমে জীবন যুদ্ধে উত্তীর্ণ হয়েছে। পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং পরস্পরকে সাহায্য ভিন্ন সভ্যতার অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই আমাদের জীবনে প্রত্যেকের প্রাথমিক কর্তব্য হলো বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্য করা।

সভ্যতার পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কর্তব্যমূলক কর্মসূচিগুলির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে মহৎ এবং পবিত্র কাজটি হলো মানুষের জীবন বাঁচানো। কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে আমাদের পক্ষে কোন মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষা করা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই এক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হতে পারে রক্তদান।

বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী আমাদের উপমহাদেশে প্রতিবছর বহু মানুষ কেবলমাত্র রক্তের অভাবে মারা যায়। তাই আমাদের শরীরের অতি সামান্য পরিমাণ রক্তের বিনিময়ে যদি আমরা সেই সকল মানুষের জীবন রক্ষায় সক্ষম হই তাহলে তা হবে সভ্য মানব জীবনের পরম সার্থকতা। 

রক্তদানের মূল চরিত্র:

রক্ত হলো প্রাণীর শরীরের অন্যতম প্রধান উপাদান। কোন কারণে শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দিলে যে কোন প্রাণী তথা মানুষের জীবন সংশয় ঘটে। মানুষের শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দেওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন আকস্মিক কোন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যদি শরীরে অত্যধিক রক্তপাত ঘটে তাহলে রক্তের অভাব দেখা দেয়। অন্যদিকে কোন বিশেষ সার্জারির সময় অধিক রক্তপাতের ফলে শরীরে রক্তের অভাব দেখা দিতে পারে।

আবার কোনো বিশেষ অসুখও মানব শরীরের রক্তাল্পতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মানব শরীরে রক্তের অভাব ঘটলে সেই মানুষটিকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হল অবিলম্বে তাকে রক্তদান করা। এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে রক্ত শরীরের এমন এক উপাদান যা আধুনিক যুগের বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি সত্ত্বেও পৃথিবীর কোন গবেষণাগার বা কারখানায় তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

তাই এই জীবনদায়ী রক্তের একমাত্র উৎস হল মানব শরীরই। আর এইখানেই রক্তদানের আসল প্রয়োজনীয়তা। মানুষের শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করে সরাসরি কিংবা কিছুদিন সংরক্ষণের পরবর্তী সময়ে সেই রক্তের মাধ্যমে অপর এক মুমূর্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়। 

রক্তের শ্রেণীবিভাগ:

রক্ত দানের ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যেকোনো মানুষের রক্ত যে কোন মানুষকে দেওয়া যায় না। প্রত্যেকটি মানুষের রক্তের নিজস্ব কিছু প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য থাকে। এই বৈশিষ্ট্যগুলির ওপর ভিত্তি করেই রক্তকে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি চার থেকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। রক্তের এই বিশেষ প্রকারভেদগুলি হল A, B, AB এবং O. মানব শরীরের রক্তের এই বিশেষ শ্রেণীবিভাগ প্রথম লক্ষ্য করেন বিজ্ঞানী ল্যান্ডইস। যদিও বর্তমানকালে রক্তের প্রত্যেকটি শ্রেণীকে (+) এবং (-) এই দুটি উপ-বিভাগেও বিভক্ত করা হয়।

এছাড়া আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির পথে উপরিউক্ত নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্লাড গ্রুপ ছাড়াও পৃথিবীর বিরলতম ব্লাডগ্রুপ হিসেবে মানুষ সম্পূর্ণরূপে নতুন বোম্বে ব্লাড গ্রুপকে চিহ্নিত করেছে। যেকোনো মুমূর্ষু ব্যক্তিকে রক্তদানের পূর্বে তার রক্তের নির্দিষ্ট গ্রুপ চিহ্নিত করা একান্ত আবশ্যক। কোন নির্দিষ্ট ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তির শরীরে একমাত্র সেই গ্রুপের রক্তই দেওয়া যায়। এর অন্যথা হলে রোগীর জীবনসংশয় পর্যন্ত হতে পারে।

রক্তদানের নিয়ম:

কোন ব্যক্তির স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিষয়টি বেশ খানিকটা জটিল এবং সংবেদনশীল। সেই জন্য রক্তদান সম্পর্কে বেশকিছু সর্বজনীন আন্তর্জাতিক নীতি প্রচলিত রয়েছে। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে রক্তদান এবং গ্রহণের ক্ষেত্রে এই বিশেষ নিয়মনীতি গুলি মেনে চলতে হয়। আন্তর্জাতিক এই সকল নিয়মের কথা মাথায় রেখেই জাতীয় স্তরে রক্তদান সংক্রান্ত নীতি নির্ধারিত হয়।

এই নীতিমালা অনুসারে পৃথিবীর প্রাপ্তবয়স্ক যে কোন ব্যক্তিই ৫৭ বছর বয়স পর্যন্ত রক্ত দিতে পারেন। তবে সেই ব্যক্তিকে হতে হবে সুস্থ এবং সবল দেহের অধিকারী। তার কোন মারাত্মক ব্যাধি থাকা চলবে না। রক্তদানকারী ব্যাক্তির শরীরের ওজন থেকে শুরু করে তাপমাত্রা তথা রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকা দরকার।

অন্যদিকে বছরে যতবার খুশি রক্তদান করা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবনহানিরও আশঙ্কা থাকে। রক্তদানের পর সম্পূর্ণরূপে নতুন রক্ত তৈরি হয়ে শরীর পুনরায় রক্তদানের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে সময় লাগে তিন মাস। তবে চিকিৎসকেরা শরীরের সব দিক মাথায় রেখে বছরে সর্বাপেক্ষা দুবার রক্তদানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সতর্কতামূলক পদক্ষেপ:

রক্তদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণের পাশাপাশি রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতামূলক কিছু নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। এর অন্যথা হলে রক্তদানকারী ব্যক্তির স্বাস্থ্য, এমনকি জীবনও সমূহ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। প্রথমত রক্ত গ্রহণের পূর্বে রক্তদাতার শরীরের সম্পূর্ণ পরীক্ষা একান্ত আবশ্যক। চিকিৎসকেরা রক্তদাতাকে পরীক্ষার পর ছাড়পত্র দিলে তবেই সেই ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করা উচিত।

দ্বিতীয়তঃ রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসকল সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে তার সম্পূর্ণ ডিসপোজেবল হওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ সেই সকল সরঞ্জাম একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। তৃতীয়তঃ রক্তদানের পর সংশ্লিষ্ট রক্তদাতাকে নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম এবং বিশেষ পুষ্টিগুণ যুক্ত সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মোটামুটি এইসকল সতর্কতামূলক পদক্ষেপ মাথায় রেখে তবেই কোন ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত গ্রহণ করা উচিত।

রক্ত গ্রহণ ও সংরক্ষণ:

সকল সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অনুসরণ করে রক্তদাতা তার পবিত্র রক্ত অন্য কোন মুমূর্ষু রোগীর জীবন রক্ষার্থে দান করেন। তবে রক্তদাতার এই মহান উদ্দেশ্য সফল হয়ে উঠবে তখনই, যখন রক্ত গ্রহণের পাশাপাশি রক্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থাও যথাযথভাবে গড়ে উঠবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একজন রক্তদাতার শরীর থেকে একবারে ২৫০ সি.সি রক্ত বিশেষভাবে নির্মিত সিরিঞ্জের মাধ্যমে টেনে নেওয়া যায়।

এতে রক্তদাতার শরীরে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে না। মানব শরীর থেকে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত সংগ্রহ করে তা এক বিশেষ প্রকার ব্যাগ বা থলির মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়। বৈজ্ঞানিক হাউষ্টেন সর্বপ্রথম এই আধুনিক রক্ত সংরক্ষণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

রক্ত সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় প্রতিনিয়ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে সহস্রাধিক ব্লাড ব্যাংক গুলি। এসকল ব্লাড ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিশীলিত তাপমাত্রায় বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে তিন মাস অবধিও রক্ত সুরক্ষিত এবং বিশুদ্ধ অবস্থায় থাকে। বর্তমানকালে মোটামুটি প্রতিটি চিকিৎসাকেন্দ্রে এবং হাসপাতালেই ব্লাড ব্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে।

রক্তদানের উপকারিতা:

রক্তদান সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত থাকলেও বৈজ্ঞানিকভাবে রক্তদানের বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। l সেগুলি নিম্নে আলোচিত হল।

  • রক্ত দানের ফলে মানুষে মানুষে বন্ধন দৃঢ় হয়ে ওঠে, একজন মানুষের রক্তে অপর কোন মুমূর্ষু ব্যক্তি জীবন ফিরে পায়।
  •  রক্তদান মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষেও বিশেষ উপযোগী। রক্তদান করলে তবেই শরীরের অন্তঃস্থলে স্থিত বোন ম্যারো এবং লোহিত রক্তকণিকাগুলি উদ্দীপ্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ফলে মানুষের শরীর হয়ে ওঠে সতেজতায় পূর্ণ।
  • গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, এমনকি বিভিন্ন ক্যানসারের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে অনেক কমে যায়।
  • রক্তদানের পূর্বে বিস্তারিতভাবে শারীরিক পরীক্ষা হওয়ার ফলে শরীরের মধ্যে গোপনে কোন বড় রোগ বেড়ে উঠছে কিনা তা জানা যায়।
  • নিয়মিত রক্তদান শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।

বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা:

রক্তদানের মতন এমন পবিত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেও সমাজে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। এই সকল ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে সমাজের বহু মানুষ এখনো স্বেচ্ছায় রক্তদানের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। অনেকে এখনও মনে করেন রক্তদান মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। বলাই বাহুল্য এটি সম্পূর্ণরূপে একটি ভুল ধারণা।

এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে একই রক্ত মানুষের শরীরে চিরকাল থাকে না। শরীরের ভিতরে প্রতিনিয়ত পুরনো রক্তকোষ ধ্বংস এবং নতুন রক্তকোষ তৈরি হতে থাকে। এই প্রক্রিয়ার ফলে রক্তদান না করলেও মানুষের পুরাতন রক্ত কোষগুলি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায় না। অন্যদিকে মানুষ রক্তদানের উপকারী দিকগুলি থেকেও বঞ্চিত থেকে যায়।

স্বেচ্ছায় রক্তদান সংক্রান্ত সমস্যাবলী:

স্বেচ্ছায় রক্তদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বর্তমান যুগে বহুল পরিমাণে প্রচার চালানো হলেও, এ বিষয়ে বেশ কিছু সমস্যা এখনো বিদ্যমান। এই সমস্যাগুলির কারণেই এখনো অবধি চাহিদা অনুযায়ী রক্তের যোগান অপ্রতুল। এই সকল সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো গৃহীত রক্ত সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত অপ্রতুলতা।

এই অপ্রতুলতার কারণে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান রক্ত অব্যবহার্য হয়ে পড়ে এবং পরিশেষে নষ্ট হয়। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সমস্যাবলির আরেকটি হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজনের ব্যাপারে সীমাহীন দুর্নীতি। এই দুর্নীতির ফলে বহু সময় গৃহীত রক্ত ব্লাড ব্যাংক পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেনা। আর সব শেষে উল্লেখ করতে হয় রক্তদানের ব্যাপারে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা এবং অসচেতনতার কথা।

এই অসচেতনতার কারণেই এখনো অবধি উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলিতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীতে মানুষের ব্যাপক স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়না। আলোচিত এই সকল সমস্যাবলী নির্মূল করতে পারলে তবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের মতো মানুষের এই মহান ব্রত সার্থক হয়ে উঠবে।

বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মসূচি:

বর্তমানকালে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থা স্বেচ্ছায় রক্তদান সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক, জাতীয় এবং স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন সংগঠন নিরন্তর কাজ করে চলেছে। বিশ্বের প্রতিটি কোনায় এই সকল সংস্থা স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন থেকে শুরু করে সমাজের তৃণমূল স্তর থেকে রক্তদান সংক্রান্ত ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে থাকে।

এছাড়া বর্তমানে সরকারের তরফেও স্বেচ্ছায় রক্তদানের ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করা হয়। সর্বোপরি সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তরফ থেকে রক্ত সংরক্ষণের উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে। বেসরকারি এইসকল সংস্থা গুলির মধ্যে রেডক্রস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

উপসংহার:

রক্তদান এক মহৎ দান; রক্তদান জীবন দান। রক্তদান দ্বারা কোন মানুষের জীবন রক্ষার মাধ্যমে রক্তদাতা মনুষ্যত্বের ঊর্ধ্বে উঠে দেবত্বের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারেন। এই রক্তদান ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু, সাদাকালো প্রভৃতির মতন সমাজের সকল প্রকার বিভেদ ও বৈষম্য ঘুচিয়ে মানুষকে এক মনুষ্যত্বের সারিতে এনে দাঁড় করায়। তাই স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীতে এগিয়ে আসা আমাদের সকলের মহান পবিত্র কর্তব্য।


স্বেচ্ছায় রক্তদান রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার। এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন