শিশু শ্রমিক রচনা (Sisu Sromik Essay in Bengali) [PDF]

আজকের শিশুরাই আগামী দিনে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে পরিচালনা করবে আমাদের দেশকে। আর সঠিকভাবে দেশকে পরিচালনা করতে সর্বপ্রথম প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা। একমাত্র সঠিক শিক্ষাই পারে কুসংস্কারমুক্ত,দুর্নীতি মুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে আজও এক বিশাল সংখ্যক শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত।পারিবারিক অভাব ও অনাথ শিশুদের পেটের জ্বালা তাদের বাধ্য করেছে শিক্ষার পথ ত্যাগ করতে শ্রম দানে। আমাদের সকলের কর্তব্য এই সমস্ত শিশু শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো। এই নিয়েই আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় শিশু শ্রমিক রচনা।

শিশু শ্রমিক রচনা

ভূমিকা:

“ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে।”

প্রত্যেক শিশুই এক একজন ভবিষ্যতের মানব। এই শিশুদের মাঝেই সুপ্ত থাকে ভবিষ্যৎ মানবের সব শক্তি ও সম্ভাবনা। আজকের শিশু আগামী দিনে পরিচালনা করবে দেশ ও সমাজ; গড়ে তুলবে সভ্যতার নতুন ইমারত। সেজন্যই প্রত্যেকটি শিশু যাতে সবদিক থেকে উপযুক্ত পরিবেশ তথা যথোপযুক্ত পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।

এই পৃথিবীতে সম্ভবত শিশুরাই সবচেয়ে বেশি নিষ্পাপ। কিন্তু নানান কারণে আজ সেই সব নিষ্পাপ ছোট ছোট শিশুরা তাদের প্রাপ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত। শিশুদের প্রতি আমাদের এই বঞ্চনা শুধুমাত্র শিশুদেরকেই বঞ্চনা করা নয়, বরং আমাদের নিজেদের ভবিষ্যতের চূড়ান্ত সম্ভাবনাকে অবহেলা করে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দেওয়া।

শিশুশ্রমের রূপ:

আমাদের সমগ্র জীবনে প্রতিটি বয়সের নিজস্ব আলাদা আলাদা ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি বয়সের একটি নির্দিষ্ট সময়কাল আলাদা আলাদা কাজের জন্য নির্ধারিত। জীবনে সময়ের এই সঠিক ব্যবহার ছাড়া সমাজের বুকে দায়িত্বশীল মানুষ গড়ে উঠতে পারে না। ঠিক যেমন সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করার সময় হলো বাল্য কাল।

এই সময়ে শিশুদের মধ্যে সুপ্ত ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিকশিত বিকশিত হয় এবং সেই শিশু যৌবনে উত্তীর্ণ হয়ে নিজের সেই সম্ভাবনার মাধ্যমে সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু শিশু শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে এই পর্যায়ক্রমিক ব্যবস্থার গোড়ায় গলদ থেকে যায়। পরিবারের মতাদর্শগত ত্রুটি, অর্থাভাব কিংবা খাদ্যাভাব যে কোন কারনেই হোক বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশু তাদের শৈশবে অর্থের বিনিময়ে হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিতে বাধ্য হয়।

ফলে তাদের ভবিষ্যৎ কোন শক্ত ভিতের ওপর গড়ে উঠতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে সমাজের ভবিষ্যতের খুঁটি নড়বড়ে হয়ে যায়। এই সমস্যা কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল, রাজ্য কিংবা দেশে সীমাবদ্ধ নয়। সমস্ত গন্ডি পেরিয়ে আজ বিশ্বের প্রতিটি কোনায় সমাজের জ্বলন্ত এক অভিশাপ রূপে এই সমস্যা বর্তমান। 

কারা শিশু শ্রমিক:

সাধারণতঃ ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী চোদ্দো বছর বয়সের নীচে ছেলেমেয়েরা শিশু হিসেবে গণ্য হয়। চোদ্দো বছর বয়সের নীচে গরীব অসহায় ছেলেমেয়েরা কখনো পরিবারের অভাব হেতু, কখনো বা নিতান্ত পেটের জ্বালায়, কিংবা কখনো পরিবারে সামান্য অধিক উপার্জনের তাগিদে ক্ষেতে, খামারে, খনিতে, লোকের বাড়িতে, দোকানে, রেস্তোরায় প্রভৃতি শ্রমমূলক ক্ষেত্রে কাজে নিযুক্ত হয়ে থাকে।

এই বয়সে শিশুদের মন বা শরীর কোনটারই পূর্ণ বিকাশ হয় না। ফলত এইসব শিশুরা মানসিক বোধমূলক চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে যেমন পঙ্গু হয়ে যায়, তেমনি তাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন জটিল থেকে জটিলতর রোগ ব্যাধি। অপরিণত এইসব শ্রমজীবী শিশুদের বলা হয় শিশুশ্রমিক।

শিশুশ্রমের ইতিহাস:

পৃথিবীতে শিশুশ্রম যেমন একেবারে নতুন নয় তেমনি খুব বেশি পুরোনোও নয়। আদিম যুগেও গুহাবাসী মানুষ মুমূর্ষু রোগী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং শিশুদের যথাযথ পরিচর্যা দান করতো। কালের নিয়মে মানুষের লোভ যত বৃদ্ধি পেল, বিশ্বজুড়ে ততই বাড়তে থাকল শোষন। ভোগের লালসায় মধ্যযুগের প্রথম দিক থেকে শুরু হলো দুর্বলের ওপর সবলের শোষণের ইতিহাস।

শিশুশ্রমের শুরুও এই সময়ে। তারপর বিজ্ঞান যত উন্নত হয়েছে, পৃথিবীজুড়ে শিল্প বিপ্লবের ফলে কলকারখানা যত বৃদ্ধি পেয়েছে ততই বৃদ্ধি পেয়েছে নামমাত্র মজুরিতে কলকারখানায় শিশুদের নিয়োগ। তবে আশার কথা এই যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মানুষ শিশুশ্রমের মর্মান্তিক রূপকে ধীরে ধীরে অনুধাবন করতে পেরেছে।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ:

বিশ্বজুড়ে শিশুশ্রমের ধারাবাহিকতার কারণ সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক দুটিকে আলাদা করে আলোচনা করলে সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ এই ক্ষেত্রে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক দুটি পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী আমাদের পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৬ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন।

এই মানুষগুলির দৈনিক আয় ১.৯০ ডলারের ও নিচে। সুতরাং ছোট্ট একটি সমীক্ষা থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে একবিংশ শতাব্দীতে সভ্যতার উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেও আমরা আজও বিশ্বের সমস্ত মানুষের জন্য সামান্য খাদ্যটুকুর বন্দোবস্তও করে দিতে পারিনি। বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের খাদ্যের এই অভাব, নিম্নমানের জীবনচর্যা ইত্যাদি প্রাথমিকভাবে শিশুশ্রমে ইন্ধন যোগায়।

তদুপরি চূড়ান্ত এই আর্থিক অনটনের ফলে নিরক্ষর মানুষের মনে সমাজ তথা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আদৌ কোন সচেতনতা গড়ে ওঠে না। দারিদ্র্যের অভিশাপে ডুবে থাকা মানুষের মধ্যে “যত বেশি হাত, ততো বেশি ভাত” তত্ত্ব জনপ্রিয়তা পায়। 

উপমহাদেশে শিশুশ্রমের চিত্র:

এশিয়া তথা আফ্রিকা মহাদেশ জুড়ে তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশ গুলি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার কারণে এই সমস্ত জায়গার মানুষের আর্থিক অবস্থা তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে বেশি করুণ। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আর্থিক এই অনটন শিশুশ্রমে ইন্ধন জোগায়। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশও এর কোন ব্যতিক্রম নয়।

শুধুমাত্র ভারতেই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী লোকের সংখ্যা এক বিশাল অঙ্কের।পেটের জ্বালা ও অভাব এই দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের নিতান্তই শৈশবে শ্রমমূলক কাজে নিযুক্ত হতে বাধ্য করে। সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক বিপর্যয়, পিতা মাতার নৃশংস আচরণও এই সমস্যার জন্য অনেকাংশে দায়ী।

তাছাড়া গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারের শিক্ষা সম্পর্কে চূড়ান্ত ঔদাসীন্য ও তাদের সার্বিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আবশ্যিক শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হয় এবং বহু ক্ষেত্রে তাদের পরিবারই শিশুগুলিকে পরিবারের উপার্জনবৃদ্ধির তাগিদে কাজে নিযুক্ত করে দেয়। এছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশে হাজার হাজার পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ শিশুরা শিশুশ্রমের সাথে যুক্ত। বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে তারা এ পথে পা বাড়ায়।

শিশু শ্রমিকের পরিণাম:

শিশুদের কাজ করানো একটি মানবতাবিরোধী কাজ। দেশ কিংবা মহাদেশ নির্বিশেষে এর পরিণতি ভীষণ ভয়াবহ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অবস্থার দিনদিন অবনতির ফল হিসেবে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।নামমাত্র সামান্য বেতন দিয়ে শিশুদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের কাজ করিয়ে নেয় কিছু অসাধু স্বার্থপর মানুষ।

অতিরিক্ত শ্রমদানের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়, তারা অপুষ্টিজনিত নানা রোগের শিকার হয়। কলকারখানায় কাজ করা শিশুরা রাসায়নিক পদার্থ ও দূষিত পরিবেশের সংস্পর্শে আসে। ফলে কম বয়সেই চোখের অসুখ, ফুসফুসের নানা সমস্যা, এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণরোগেরও শিকার হয়। এছাড়া শৈশবের প্রাপ্য হিসেবে প্রাথমিক যত্ন এবং শিক্ষালাভ থেকেও তারা বঞ্চিত হয়। ফলে সময়ের সাথে গোটা বিশ্ব জুড়ে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

যার সরাসরি প্রভাব পড়ে জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে। সেজন্য যে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা যত বেশি, অর্থনৈতিকভাবে সেই দেশের পক্ষে মাথা তুলে দাঁড়ানো ততবেশি কঠিন। শিশুরা হলো আমাদের জাতি তথা এ বিশ্বের ভবিষ্যৎ। সেই সম্ভাবনাময় বীজগুলিকে যদি আমরা অবহেলায় দুর্বল করে রেখে দিই, ভবিষ্যতের মহীরুহ তাহলে অন্ধকারের অতল গহ্বরেই তলিয়ে যাবে।

সমস্যা দূরীকরণ:

  • সরকারি উদ্যোগ:

এই শিশু শ্রমিকের সমস্যা সমাধানের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষার প্রসার,সচেতনতা বৃদ্ধি ও দারিদ্র দূরীকরণ। এছাড়াও প্রয়োজন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা। সামাজিক সচেতনতা এই প্রসারের জন্য প্রথমে প্রয়োজন শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের। তাছাড়া শিশুশ্রমের প্রচলিত ধারা রোধ করার জন্য সরকারের তরফে আইনগুলিকে যথাযথভাবে কার্যকরী করার দিকেও যথেষ্ট নজর রাখা দরকার।

  • আন্তর্জাতিক উদ্যোগ:

এই সমস্যা কোন নির্দিষ্ট দেশ বা মহাদেশের নয়; বরং সমগ্র পৃথিবীর।তাই আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ববাসীকে একত্রিত হয়ে এই সমস্যা দূরীকরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এই উদ্যোগ এই সারা পৃথিবী জুড়ে স্থাপিত হয়েছে নানা আন্তর্জাতিক সংগঠন। বহু আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থাও এই সমস্যা দূরীকরণে কাজ করে চলেছে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের শাখা হিসেবে এই সমস্যা দূরীকরণে চেষ্টা করে চলেছে ইউনেস্কো। সমাজের নিচু স্তরের অবহেলিত ও শোষিত শিশু শ্রমিকের সমস্যাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমের প্রচলিত এই ধারাকে প্রতিহত করার জন্যে তৈরি হয়েছে বহু আন্তর্জাতিক আইন।

  • সামাজিক স্তরে উদ্যোগ:

কেবল মাত্র আইন দিয়েই কোন সামাজিক সমস্যার বাস্তব সমাধান কোনদিন সম্ভব নয়। তাই সকলকে একক ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে শিশু শ্রমিক সমস্যার দূরীকরণে। এবং এই সংকল্প উঠে আসতে হবে সমাজের একেবারে নিচু স্তর থেকে। তৃণমূল স্তর থেকে সামাজিক ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে।

চেষ্টা করতে হবে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য। সমাজের সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গ হলো পরিবার। প্রতিটি পরিবারে যদি এই জ্বলন্ত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় তাহলে শিশু শ্রমিক সমস্যা দূরীকরণে পৃথিবীতে আর বেগ পেতে হবে না।

উপসংহার:

মানবতার বিকাশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে শিশুশ্রম রোধ করা একান্ত প্রয়োজন। শিশু শ্রমিকের সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থব্যয়ের অক্ষমতার চেয়ে আমাদের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবই বহুলাংশে দায়ী। আশা করা যায় জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে যথাযথ প্রচেষ্টার দ্বারা ভবিষ্যতে এই হতভাগ্য শিশুর দল ফিরে পাবে তাদের স্বাভাবিক জীবন। এবং এই শিশুর দল সুস্বাস্থ্য এবং সুশিক্ষার অধিকারী হয়ে ভবিষ্যতে গড়ে তুলবে এক উন্নত সমাজ ও সভ্যতা। 

প্রত্যেক শিশুই এক একজন ভবিষ্যতের মানব। এই শিশুদের মাঝেই সুপ্ত থাকে ভবিষ্যৎ মানবের সব শক্তি ও সম্ভাবনা। আজকের শিশু আগামী দিনে পরিচালনা করবে দেশ ও সমাজ; গড়ে তুলবে সভ্যতার নতুন ইমারত। সেজন্যই প্রত্যেকটি শিশু যাতে সবদিক থেকে উপযুক্ত পরিবেশ তথা যথোপযুক্ত পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।

এই পৃথিবীতে সম্ভবত শিশুরাই সবচেয়ে বেশি নিষ্পাপ। কিন্তু নানান কারণে আজ সেই সব নিষ্পাপ ছোট ছোট শিশুরা তাদের প্রাপ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত। শিশুদের প্রতি আমাদের এই বঞ্চনা শুধুমাত্র শিশুদেরকেই বঞ্চনা করা নয়, বরং আমাদের নিজেদের ভবিষ্যতের চূড়ান্ত সম্ভাবনাকে অবহেলা করে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দেওয়া।


“শিশু শ্রমিক” রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার।এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

উল্লেখ: Child labour – Wikipedia

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন