ইন্টারনেট রচনা [Internet Essay in Bengali with PDF]

মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অন্যতম অংশ। ইন্টারনেটের জালে আমরা এমন ভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যার থেকে বেরিয়ে আসা একেবারেই অসম্ভব। অনেক কঠিন কাজকে সহজ করে দিয়েছে ইন্টারনেট। মানবজীবনে নিয়ে এসেছে আমূল পরিবর্তন।

দৈনন্দিন জীবনে বিপুল ব্যবহৃত ইন্টারনেট আমাদের পক্ষে কতটা সুরক্ষিত? এর আবিষ্কারক কে? আগামী দিনে ইন্টারনেটের ভবিষ্যত কি? এ সব কিছুর বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় ইন্টারনেট রচনা

ইন্টারনেট রচনা

ভূমিকা:

আধুনিক সভ্যতা ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার সমগ্র সমাজব্যস্থায় এনেছে আমূল পরিবর্তন। পৃথিবীর সাধারণ নিয়ম গেছে বদলে। আমাদের আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের প্রভাব আজ অতিমাত্রায় স্পষ্ট।

গণমাধ্যমও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বাইরে নেই।গণমাধ্যমে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের জয়যাত্রা শুরু সম্ভবত ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বেতার আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে। তারপর কালের নিয়মে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের উন্নতিতে আমরা পেয়েছি টেলিভিশন ও পরবর্তীতে ইন্টারনেটের মতো সর্বাধুনিক গণমাধ্যম।

মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেটের রহস্যময় যোগসূত্র পৃথিবীকে আজ এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। এইভাবে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদানে বিশ্ব প্রথমে বাক্স এবং পরে মুঠোর মধ্যে বন্দি হয়েছে।

জীবনে ইন্টারনেট:

 বর্তমানে ব্যাপকভাবে বহুমুখী কাজে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে। চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা, সরকারি ও বেসরকারি নানাবিধ কাজকর্ম, হিসেব-নিকেশ, প্রশাসন পরিচালনা, জটিল গবেষণা প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রকে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। তাছাড়া পৃথিবী জুড়ে সমস্ত ধরনের যোগাযোগ ব্যাবস্থার এক অন্যতম যুগান্তকারী মাধ্যম ইন্টারনেট।

এই ইন্টারনেট ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রচলিত চিরাচরিত যোগাযোগ ব্যবস্থার রীতি গিয়েছে ভেঙে, গড়ে উঠেছে নতুন নিয়ম, যা আমরা প্রবন্ধের পরবর্তী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে ইন্টারনেট পরিষেবা ছাড়া বর্তমান আধুনিক সভ্যতা একপ্রকার অচল।

ইন্টারনেট কী:

ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক (আন্তর্জাতিক জাল) শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট বলতে বোঝায় এমন এক নেটওয়ার্ক, যা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মোবাইল, কম্পিউটার, সুপার কম্পিউটারের মত বিভিন্ন ডিজিটাল তথা অ্যানালগ মাধ্যমের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে তথ্যের আদান প্রদানে সহায়তা করে।

বিশ্বব্যাপী মাকড়সার জালের মতো বিস্তারিত মোবাইল, কম্পিউটার সংযোগের জন্য আমরা চোখের পলকে তথ্যের আদান প্রদান করতে পারি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।  ইন্টারনেটে ঠিকানার পারিভাষিক নাম ওয়েব অ্যাড্রেস। এই ঠিকানা লিখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করলে চোখের সামনে যা দৃশ্যমান হয় পরিভাষায় তার নাম ওয়েব সাইট। সাধারণভাবে এই হল ইন্টারনেট ব্যবস্থার মুখ্য রূপ।

ইন্টারনেটের ইতিহাস:

১৯৬২ খ্রিস্টাবে গ্যালকটিক নেটওয়ার্ক কনসেপ্টের ধারণা অধ্যাপক জে. সি. আর লিকলাইডের মাথায় প্রথম আসে। এর মোটামুটি দশ বছর পর এই ধারণা বাস্তবায়িত হয়। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বে ইন্টারনেটের সূচনা ঘটে। সাধারণের অজান্তে সকলের চোখের অগোচরেই পদার্পণ করে এক নতুন যুগ। 

জনসাধারনের মধ্যে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটতে প্রথমে সময় লাগে বছর আটেক। এই সময় ইরাকের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলছিল। সেই যুদ্ধের খবর ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়ে জনসাধারণের মধ্যে এক ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এর পর ইন্টারনেটের প্রসার ঘটতে আর একটুও সময় লাগেনি।

১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারনেটকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এইখান থেকেই শুরু হয়ে যায় পৃথিবীর ইতিহাসে ইন্টারনেটের জয়যাত্রা। এর কয়েক মাসের মধ্যেই হাজার হাজার নতুন সদস্য ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়। প্রথমদিকে শুধুমাত্র পেশাগত ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হলেও, কিছুদিন পর থেকেই ইন্টারনেট আস্তে আস্তে ঢুকে যায় গৃহস্থের অন্তঃপুরে। এভাবেই সারা পৃথিবীকে এই আন্তর্জাল ব্যবস্থা বর্তমানে সত্যিই মাকড়সার জালের মতো জড়িয়ে ফেলেছে।

ইন্টারনেটের ব্যবহার:

ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে যতই বলা হোক না কেন, তা এর বাস্তবের ব্যবহারিক রুপের তুলনায় অতি সামান্যই বলা হবে। জনসাধারণের মধ্যে আবির্ভাবের শুরুতে প্রথম প্রথম বিশেষত তথ্যের আদান-প্রদান করার জন্য ইন্টারনেটের ব্যাবহার হত। তারপর দিন যত এগিয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের বহুমুখিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে।

আজ পৃথিবীতে ইন্টারনেটের ব্যবহার এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে একে মানুষের বেঁচে থাকার এক অন্যতম প্রয়োজন হিসেবে গণ্য করার সময় হয়েছে বলে অনেক সমাজ বিশেষজ্ঞ মনে করেন। তাদের মতে, ইন্টারনেট হলো আমাদের আধুনিক সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এক প্রযুক্তি যা ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল কাজই অসম্পূর্ণ। আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে শিক্ষা, ব্যাবসা, যোগাযোগ, ব্যাঙ্কিং, চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের একান্ত প্রয়োজনীয়তা আজ বিদ্যমান।

একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবস্থা মাত্র এক মিনিটের জন্য বন্ধ হলে পৃথিবীকে যে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তা কল্পনাতীত। ইন্টারনেটের সেই গভীর জটিল ব্যবহারিক প্রয়োগের মধ্যে না ঢুকে, প্রতিদিনের জীবনে এর কিছু সাধারণ ব্যাবহার সংক্ষেপে আলোচনার চেষ্টা করা হলো।

  • শিক্ষা ক্ষেত্রে: শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমানে সর্বজনবিদিত। ইন্টারনেটের চরিত্র বিশ্লেষণ করলেই এর কারণ সহজে অনুধাবন করা যায়। ইন্টারনেট হল তথ্যের এক সুবিশাল ভান্ডার। সেই তথ্যভান্ডার থেকে যেকোনো প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যায়।তাই এই মাধ্যম পৃথিবীর যেকোন মানুষের কাছে মহাজ্ঞানী এক শিক্ষক রূপে নিমেষেই শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারে। এছাড়া প্রথাগত শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের ফলে ফর্ম পূরণ, ফল প্রকাশ, নোটিশ প্রদান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
  • অনলাইন এডুকেশন: শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সর্বাধুনিক অবদান হল অনলাইন এডুকেশন সিস্টেম। ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসেই সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা লাভ আজ সম্ভবপর হচ্ছে। তাছাড়া অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবীতে বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ প্রতিকূল সময়েও শিক্ষাকে মানুষের কাছে অতি সহজে পৌঁছে দিতে সাহায্য করছে।
  • তথ্য আদানপ্রদানে: বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট তথ্যের আদান-প্রদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিল এর এর জন্মলগ্নেই। প্রথমে প্রতিরক্ষা এবং পরে সর্বসাধারণের জন্য তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ সমস্ত চিরাচরিত রীতি কে ভেঙে এক সরল এবং অত্যন্ত সুবিধাজনক ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটিয়েছে। ই-মেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল হল তারই সামান্য এক নমুনা।  ই-মেইলের মাধ্যমে এক মুহূর্তে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নূন্যতম খরচে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভবপর হয়েছে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া: তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সর্বাধুনিক অবদান হল সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে তথ্যের আদান-প্রদান তথা যোগাযোগব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের সঙ্গে চ্যাটিং ভিডিও কল ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
  • বিনোদনে: বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। মানুষ আজ প্রতিদিনকার বিনোদনে ইন্টারনেটকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে থাকে।  বিনোদনের সমস্ত উপাদানই ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে উপভোগ করা সম্ভব। যেমন – রেডিও, টেলিভশন, বিভিন্ন ভিডিও গেম, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। তাছাড়া বিনোদনে ইন্টারনেটের ব্যবহারের ক্ষেত্রে OTT প্ল্যাটফর্মের কথা আজ সর্বজনবিদিত। ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, হটস্টার, অ্যামাজন প্রাইম এর মত অসংখ্য OTT প্ল্যাটফর্ম আজ স্বল্প খরচে মানুষের হাতের মুঠোয় বিশ্বমানের বিনোদনকে এনে হাজির করেছে। এই ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে অগণিত মানুষের জীবন ও জীবিকা। তাছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন সুপ্ত প্রতিভা এই মাধ্যমের ব্যবহারে নিজেদের প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে।
  • ব্যাবসা বানিজ্যে: ইন্টারনেট ব্যাবসা বাণিজ্যকে দিয়েছে এক নতুন দিশা। ব্যাবসা এখন অনলাইনে। প্রয়োজনের সব কিছু বেচা কেনা থেকে হোটেল বুকিং,গাড়ি বুকিং, খাওয়ার অর্ডার বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট বহুল ব্যবহৃত।
  • ই-শপিং: ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে ই-শপিং এর ধারণা প্রসার লাভ করেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই এই ব্যবস্থায় লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণীকে বাদ দিয়ে তুলনামূলকভাবে স্বল্প দামে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া পুরনো জিনিস বেচাকেনা, অনলাইন রিক্রুটমেন্ট এর ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। সর্বোপরি শুধুমাত্র এই ইন্টারনেটকে ভিত্তি করেই বর্তমান যুগে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা ও বানিজ্য, যা আবারও অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা অর্জনে সহায়তা করছে প্রতিনিয়ত।

ইন্টারনেটের ব্যবহারকে শুধুমাত্র এই ক’টি গণ্ডির মধ্যে বেঁধে ফেললেই তা সমাপ্ত হয় না। এই মাধ্যমের ব্যবহার এবং ব্যপ্তি বহুমুখী। এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে দৃষ্টির অগোচরে থেকে ইন্টারনেট প্রতিদিন বিশ্ব পরিচালনায় এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যায়।

ইন্টারনেটের অপব্যাবহার:

সবকিছুর মতো ইন্টারনেটেরও ভালো এবং খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। দিন দিন ক্রমাগত ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর অপব্যাবহার। এই প্রযুক্তির জন্ম মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে হলেও এর অপব্যবহার কে সম্পূর্ণ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনলাইন বিনোদনের প্রতি অত্যন্ত আসক্তি শিশুদের শৈশবকে আজ বহুমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাছাড়া ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শিশুদের নিরাপত্তাকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। 

যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুরি হচ্ছে ব্যাক্তিগত তথ্য। ভুল খবর ছড়িয়ে পড়েছে মুহূর্তেই। এছাড়াও একাউন্ট হ্যাক করে অর্থ-সম্পদ চুরি করে নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। সেই কারণে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ের পর্যালোচনার জন্য পৃথিবীর প্রতিটি দেশ গড়ে তুলেছে তাদের নিজস্ব সাইবার সেল।

এই সাইবার সেলগুলি প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করবার চেষ্টা করে চলেছে। তাছাড়া ইন্টারনেট কে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন এথিক্যাল হ্যাকিং, আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি ইন্টারনেট সুরক্ষার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করবার চেষ্টা করে থাকে।

উপসংহার:

বহুবিধ ও অপব্যবহার সত্বেও ইন্টারনেটের মতো বহুমুখী সম্ভাবনাময় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে অস্বীকার করে দূরে সরিয়ে রাখার অর্থ মূর্খের স্বর্গে বাস করা। গোটা দুনিয়া এখন মাকড়সার জালের মতোই ইন্টারনেটের জালে বাঁধা।

এর থেকে মুক্তি পাওয়া রবিনসন ক্রুসোর মতো সমাজ সংসার থেকে বঞ্চিত দুর্ভাগ্যের বলি হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে এর খারাপ দিকগুলিকে যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রেখে আমরা ইন্টারনেটকে মানব সভ্যতার কল্যানে ব্যবহার করে বহু দূর অগ্রসর হতে পারি।


ইন্টারনেট প্রবন্ধ রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার।

এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা
প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা
কম্পিউটার রচনা
মোবাইল ফোন রচনা

উল্লেখ: WikiPedia

Print Friendly, PDF & Email

“ইন্টারনেট রচনা [Internet Essay in Bengali with PDF]”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন