মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রবন্ধ রচনা [PDF]

“মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!” যেকোনো মানুষের কাছেই তার মাতৃ ভাষা গর্বের বিষয়।কিন্তু বর্তমান সময়ে অভিভাবকরা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইংরেজি ভাষার প্রতি বেশি জোর দিচ্ছে।সহযোগী ভাষা হিসেবে ইংরেজি বা অন্য কোনো ভাষা পড়া ও শেখার প্রয়োজন রয়েছে।কিন্তু শিক্ষা ব্যাবস্থার মূল ভাষা মাতৃভাষা হওয়ায় উচিত। এ নিয়ে আজকের প্রবন্ধ রচনা মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান।

মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রবন্ধ রচনা বৈশিষ্ট্য চিত্র

ভূমিকা:

“জননীর স্তনদুগ্ধ যদ্রুপ অন্য সকল দুগ্ধ অপেক্ষা বল বৃদ্ধি করে; তদ্রূপ জন্মভূমির ভাষা অন্য সকল ভাষা অপেক্ষা মনের বীর্য প্রকাশ করে।”

-রাজনারায়ণ বসু

মাতৃভাষা হল মানুষের আবেগ-অনুভূতির প্রকৃত প্রকাশ মাধ্যম। তার জিয়নকাঠির স্পর্শেই নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হয়, বোধের গভীরে চিন্তার বুদবুদ কারার দ্বার ভেঙে বাইরে এসে বাক‌্মূর্তি ধারণ করে। আর অন্যদিকে শিক্ষা হলো মানব জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।

মানুষের সকল ধনসম্পত্তি মানুষকে ছেড়ে চলে গেলেও অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান কখনো মানুষের সঙ্গ ছাড়ে না। তাই সেই অর্জিত শিক্ষার সঙ্গে মানুষের অন্তস্থলের আবেগের যোগ থাকা একান্ত আবশ্যক। সেকারণে শিক্ষার সঙ্গে মানুষের অন্তরের আবেগকে যুক্ত করার জন্য প্রয়োজন মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের। প্রাণের ভাষা ওপ্রানের জ্ঞান একত্রিত হলে তবেই একজন সার্থক মানুষরূপে পৃথিবীর বুকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব হবে। 

ভাষা এবং মাতৃভাষা:

মাতৃভাষায় শিক্ষাদান সম্পর্কিত আলোচনার পূর্বে ভাষা ও মাতৃভাষা সম্বন্ধে সকল বিভ্রান্তি দূরীকরণে একান্ত প্রয়োজন আছে। মাতৃভাষার স্বরূপকে বোঝার জন্য সর্বপ্রথম ভাষা কি তা বোঝা প্রয়োজন। ভাষা হল সুদীর্ঘ কালের বিবর্তনে মানুষের ভাব প্রকাশের নিমিত্ত একটি সুগঠিত সুসংবদ্ধ মাধ্যম। এই সজ্ঞার দিকে প্রাথমিকভাবে নজর দিলে ভাষাকে নেহাতই একটি একটি তুচ্ছ জিনিস বলে মনে হতে পারে।

কিন্তু ভাষার প্রকৃত রূপ তা নয়। মানব সভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাসে ভাষার সাথে জড়িয়ে যায় ঐতিহ্য, গৌরব তথা সংস্কৃতির লালিত্য। বহু ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ভাষাকে কেন্দ্র করে আত্মপ্রকাশ করে একটি জাতি, গড়ে ওঠে জাতীয়তাবোধ, এক আবেগঘন সমাজ। সেই সমাজের বুকে জন্ম গ্রহণ করা প্রতিটি শিশু জন্মের পর মাতৃভূমির বয়ানে যে ভাষা উচ্চারণ করতে শেখে, তাইই ওই শিশুর মাতৃভাষা। মায়ের সাথে যেমন শিশু নাড়ির টান জড়িয়ে থাকে, তেমনি মাতৃভাষার সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে নাড়ির টান। 

মাতৃভাষা ও শিক্ষার মিথস্ক্রিয়া:

ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষা হল মানব জীবনের পরম সম্পদ তথা সর্বোত্তম বন্ধু। তাই এই বন্ধু এবং সম্পদের সঙ্গে আত্মার সংযোগ গড়ে ওঠা একান্ত কাম্য। একজন মানুষের মধ্যে শিক্ষার বিকাশ শুধুমাত্র শিক্ষা গ্রহণ করলেই হয় না। একজন মানুষের অন্তরে শিক্ষার প্রকৃত বিকাশ ঘটে আত্মার সঙ্গে শিক্ষার মিলনের মাধ্যমে। অন্যদিকে মানুষের ভাব এর মাধ্যম হলো ভাষা।

তাই মানুষের অন্তরাত্মা যে ভাষা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারে সেই ভাষাতেই প্রতিটি মানুষের শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন। মানুষের আত্মার সবচেয়ে কাছের ভাষা হল সেই মানুষের মাতৃভাষা। সে কারণে মাতৃভাষার সঙ্গে শিক্ষাগ্রহণের সার্থক মিথস্ক্রিয়া ঘটলে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকে অশিক্ষার অন্ধকার থেকে উদ্ধার করে আনা সম্ভব হবে। 

ভারতবর্ষে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ইতিহাস:

ভারতবর্ষে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ইতিহাস খুব একটা নতুন না হলেও, খুব প্রাচীনও নয়। প্রাচীন ভারতে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভাষার মাধ্যম ছিল মূলত সংস্কৃত। উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মাতৃভাষা বিভিন্ন হলেও, শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে সংস্কৃত ভাষাই ছিল মাধ্যম।

এরপর মধ্য যুগে ভারতবর্ষে সুলতানি শাসনকালে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ধীরে ধীরে ফারসি ভাষার প্রচলন ঘটে। এই ফারসি ভাষায় শিক্ষাদানের প্রথা মুঘল শাসন আমলের প্রায় শেষ পর্যন্ত প্রচলিত ছিল।

এরপর অষ্টাদশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বণিকদের মানদন্ড রাজদণ্ডতে রূপান্তরিত হলে ভারতবর্ষের সকল সামাজিক ক্ষেত্রে নতুন ধরনের সংস্কার আসতে শুরু করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে লর্ড মেকলের হাত ধরে ভারতবর্ষের শিক্ষা দানের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা স্বীকৃতি পায়।

তবে ইউরোপীয় সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা ধারণা ভারতীয় সমাজের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করলে সমাজের বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের পক্ষে সফল করতে থাকেন।

ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষ সম্ভবত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সর্বপ্রথম মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। তার হাত ধরেই রচিত হয় বাঙালির প্রাথমিক শিক্ষাপুস্তক বর্ণপরিচয়। এরপর ধীরে ধীরে সময় যতই বাড়তে থাকে ততোই ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাতৃভাষায় শিক্ষা বিস্তারের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয়তা:

সমাজের মাতৃভাষা শিক্ষাদানের ব্যাপক ও বহুমুখী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে ভাষা মানুষের কোন ভুঁইফোড় আবেগ নয়। একটি সমাজের জীবনচর্যার দীর্ঘকালীন বিবর্তনে একটি সুসংহত ভাষা সার্থক রূপ পায়। সেই ভাষার মধ্যে মিশে থাকে সংশ্লিষ্ট সমাজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তথা ইতিহাসের দ্যোতনা।

তাই নিজের মাতৃভাষার সঙ্গে সার্থক রূপে পরিচিতি গড়ে না উঠলে নিজের উৎপত্তিগত শিকড়ের সঙ্গে আন্তরিক বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। সমাজে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের মাধ্যমে সেই সমাজের মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট ভাষাগত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তথা ইতিহাসের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে তোলা যায়। তাছাড়া মাতৃভাষা হল মানুষের কাছে ভাব প্রকাশের সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম।

সেই ভাষায় শিক্ষাদান করলে সমাজে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। সহজ ভাষায় উচ্চমানের শিক্ষা দানের ফলে মানুষ সহজেই শিক্ষা গ্রহণের দিকে আকৃষ্ট হয়। ফলে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান আদপে একটি শিক্ষিত সমাজের ভিতই রচনা করে।

মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্ব:

একজন মানুষের জীবনে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করলেন একদিকে যেমন নিজের মাতৃভূমির সাথে আত্মিক বন্ধন দৃঢ় হয়ে ওঠে, অন্যদিকে তেমন সেই সংশ্লিষ্ট মাতৃভূমির ভাষাগত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সাথে সার্থক পরিচিতির ফলে একজন সত্যিকারের মানুষরূপে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সুবিধাগত অবস্থানে থাকা যায়।

তাছাড়া কোন বিদেশী বা বহিরাগত ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষা গ্রহণের সময় বিভিন্ন সরল বিষয়ও কেবলমাত্র ভাষাগত অদক্ষতার কারণে জটিল বলে মনে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাতৃভাষা যেহেতু মানুষ জন্ম থেকে কোনরকম বিশেষ পুঁথিগত চর্চা ছাড়াই আয়ত্ত করে, তাই শিক্ষা গ্রহণের তুলনামূলক বিভিন্ন জটিল বিষয়ক মাতৃভাষায় শিখনের সময় সহজ বলে মনে হয়। সে কারণে মাতৃভাষায় শিক্ষার ফলে একজন মানুষের সঙ্গে শিক্ষার সার্থক মিথস্ক্রিয়া সম্পন্ন হয় প্রকৃত জ্ঞানের উন্মেষ ঘটতে পারে। 

স্বাধীনতা উত্তর ভারতে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের দৃষ্টান্ত:

ভারতবর্ষের ইতিহাসে শিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষাকে গৌণ করে অন্যান্য গুরুভাষাকে বেছে নেওয়া হলেও স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে ভারতবর্ষে শিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হতে থাকে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণের সময় স্থির করা হয় দেশের অঙ্গরাজ্য গুলিতে সেখানকার স্থানীয় ভাষাতে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।

এর ফলে মানুষের পক্ষে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করা অনেক বেশি সহজসাধ্য এবং কম ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে উঠবে। তাছাড়া ভারতীয় সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা অনুসারে ভারতের প্রতিটি কোনায় বসবাসকারী প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী যাতে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় তার জন্য রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া আছে।

সংবিধানে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানকে এতোখানি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র মাতৃভাষায় শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকা শিক্ষাবিস্তারের ব্যাপক সম্ভাবনার কারণে।

মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের পথে প্রতিকূলতা:

মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা যেমন রয়েছে, তার পাশাপাশি বর্তমান রয়েছে বেশকিছু গুরুতর সমস্যাও। তার মূল কারণ অবশ্য মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমাজের উপরতলার মানুষের ভিত্তিগত উৎসাহের অভাব। সরকারের তরফ থেকে মাতৃভাষায় শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হলেও সমাজের অভিজাত সম্প্রদায় এখনো উপনিবেশিক মানসিকতা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারায় তারা ইংরেজিকেই শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়ে থাকে।

তাছাড়া আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি স্বীকৃতি পাওয়ার ফলেও মানুষের মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহণ সংক্রান্ত উৎসাহের ক্ষেত্রে ভাঁটা দেখা যায়। এছাড়া প্রাচীন ঐতিহ্যগত নিদর্শনের অভাবে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের (বিশেষত বিজ্ঞানশিক্ষা) নিমিত্ত যথাযথ মানের বই রচনার জন্য উপযুক্ত পরিভাষার অভাবও মাতৃভাষায় শিক্ষা বিস্তারের পথে একটি অন্যতম প্রধান প্রতিকূলতা হিসেবে কাজ করে।

তবে এ প্রসঙ্গে হাল ছেড়ে দেওয়া কোন কাজের কথা নয়। শুধুমাত্র পরিভাষার অভাবে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার প্রবণতা নিজের মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করারই শামিল। আশার কথা এই যে বর্তমানকালে সমাজের অনেক বিদ্বজ্জনরা মাতৃভাষায় শিক্ষা বিস্তারের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিভিন্ন জটিল বিষয় এর পরিভাষা তৈরীর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। 

উপসংহার:

মাতৃভাষা হল আমাদের মায়ের ভাষা। তাই মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করা নিজের মাকে অবহেলা করার শামিল। মাতৃভাষার সাথে আমাদের আত্মার যে যোগ থাকে, মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সেই যোগসূত্রে আবেগের প্রলেপ পড়ে।

তাই আমাদের সকলের উচিত অন্তত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করা এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে সমাজের সকল স্তরে ব্যাপক প্রয়াস চালানো। কেবলমাত্র এই প্রয়াস দ্বারাই একটি ঐতিহ্য অনুরাগী, ইতিহাস সচেতন, সুসংস্কৃতিবান ও রুচিশীল সমাজ গড়ে


মাতৃভাষায় শিক্ষা দান বা মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রবন্ধ রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান। আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার।

এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান। দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন