আধুনিক যুগের প্রথম পর্বে ভারতবর্ষ যখন চোখ মেলে তাকাচ্ছিলো,ঠিক তখন তেমনই একজন মহীয়সী নারী নিতান্তই সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে এসে হাত ধরেছিলেন ভারতীয় সমাজের। তিনি নিজ বৈশিষ্ট্যে ভারতাত্মায় পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ভারতবাসীর মহিয়সী ভগিনী। আজ তাঁর কথা স্মরণ করে আজকের আলোচ্য বিষয় ভগিনী নিবেদিতা রচনা।
সূচি তালিকা
ভূমিকা:
ভারতবর্ষের মহাপুরুষেরা বলে গিয়েছেন ভারতীয়ত্ব আসলে কোন জন্মগত নাগরিক পরিচয় নয়। ভারতীয়ত্ব হলো সেই প্রাচীনকাল থেকে এই ভারত ভূমির বুকে গড়ে ওঠা সভ্যতার আত্মিক নির্যাস দ্বারা সমৃদ্ধ দর্শন। যে মানুষের মন এই পবিত্র ভূমির সুসমৃদ্ধ দর্শন দ্বারা পরিচালিত হয় তিনিই ভারতীয়। তাই একথা সন্দেহাতিত যে ভারত ভূমিতে জন্মলাভ না করেও ভারতীয় দর্শনকে আত্মার অন্তঃস্থলে আত্মস্থ করে মনেপ্রাণে একজন ভারতীয় হয়ে ওঠা যায়।
ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন নিদর্শন কম নেই। সেই প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মানুষ এই ভারত ভূমিতে এসে এখানকার পবিত্র দর্শন দ্বারা অভিভূত হয়েছে, তাকে গ্রহণ করেছে তথা প্রভাবিত করেছে। তাদের মধ্যেই বহু মনীষা আমাদের হৃদয়ের আঙিনায় চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
আধুনিক যুগের প্রথম পর্বে ভারতবর্ষ যখন চোখ মেলে তাকাচ্ছিলো, তখন তেমনই একজন মহীয়সী নারী নিতান্তই সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে এসে হাত ধরেছিলেন ভারতীয় সমাজের। তিনি হলেন একাধারে নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী, লেখিকা, শিক্ষিকা এবং সর্বোপরি স্বামী বিবেকানন্দের সুযোগ্য শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা।
জন্ম ও ছেলেবেলা:
ভগিনী নিবেদিতা জন্মগতভাবে একজন অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদ্ভূত। তার জন্ম হয় ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে অক্টোবর উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে। জন্মগতভাবে তার নাম ছিল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। তার পিতা ছিলেন স্যামুয়েল রিচমন্ড এবং মাতা ছিলেন মেরি ইসাবেলা। পিতা-মাতার তিন সন্তানের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার বড়।
বাবা ধর্মযাজক হওয়ার কারণে ছেলেবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি মার্গারেটের ঝোঁক ছিল। তবে মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারানোর ফলে তার এই ঝোঁকও সময়ের অতলে জীবন সংগ্রামের মধ্যে হারিয়ে যায়। পিতৃবিয়োগের পর তার তার দাদামশাই হ্যামিলটনের কাছে তিনি বড় হয়ে ওঠেন। হ্যামিল্টন ছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী। এখান থেকেই জাতীয়তাবাদের প্রতি মার্গারেটের ঝোঁক গড়ে ওঠে।
প্রাথমিক জীবনে লন্ডনের চার্চ বোর্ডিং স্কুলে মার্গারেট পড়াশোনা শুরু করেন। সেখানকার পাঠ সমাপ্ত করে তিনি ও তার বোন মেরি হ্যালিফ্যাক্স কলেজে ভর্তি হন। এইখান থেকেই কলেজের পাঠ সম্পন্ন করে তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল।
কর্মজীবন:
জন্মগতভাবে সুদক্ষ শিক্ষিকা মার্গারেট কলেজের পাঠ শেষ করে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে বেছে নেন। প্রথমদিকে বছর দুয়েকের জন্য কেসউইকের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করেন। তারপর একে একে রেক্সহ্যাম, চেষ্টার এবং উইম্বলডনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মার্গারেট শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেছিলেন। কিছুদিন পর ১৮৯৫ নাগাদ উইম্বলডনে তিনি রাসকিন স্কুল নামে নিজের একটি স্কুলেরও উদ্বোধন করেছিলেন।
এই বিদ্যালয়ে তিনি নিজের নতুন শিক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতি বেশ খানিকটা সফলও হয়েছিল। এই সময়ে ওয়েলসের একজন যুবকের সাথে তার বিবাহ স্থির হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই যুবকের অকালমৃত্যুর ফলে এই বিবাহ সম্পন্ন হতে পারেনি। তার মৃত্যুর পর মার্গারেট মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মোটামুটি বলা যায় এই সময়েই তার পেশাদারী কর্মজীবনে ইতি ঘটে যায়।
বিবেকানন্দ সমীপে মার্গারেট:
স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে মার্গারেটের যখন সাক্ষাৎ, তখন মার্গারেট মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ও হতাশাগ্রস্থ এক নারী। সেই সময়ে বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগো শহরে মহাধর্মসম্মেলনে কালজয়ী বক্তৃতা দিয়ে জগৎজোড়া খ্যাতি লাভ করে লন্ডন ভ্রমণে গিয়েছেন। সেখানেই এক পরিচিত পরিবারে নিমন্ত্রণের আসরে স্বামীজীর সাথে মার্গারেটের প্রথম সাক্ষাৎ।
বিবেকানন্দের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা, সার্বিক জ্ঞান এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্ব মার্গারেটকে মুগ্ধ করেছিল। এরপর থেকে স্বামীজীর লন্ডনে থাকাকালীন যত বক্তৃতা এবং প্রশ্নোত্তরের আসর বসেছিল, সবকটিতে তিনি উপস্থিত থাকতেন। সংসারের ভারে বিধ্বস্ত মার্গারেটের জীর্ণ মন স্বামীজীর বাণীর মধ্যে পরম শান্তি খুঁজে পেয়েছিল।
অবশেষে বিবেকানন্দকেই তিনি নিজের গুরুরূপে বরণ করে নেন। স্বামীজীও তাকে নিরাশ করেননি। শ্রীরামকৃষ্ণ যেমন যুবক নরেনের মধ্যে বিবেকানন্দ হয়ে ওঠার আগুন দেখতে পেয়েছিলেন; তেমন স্বামীজিও মার্গারেটের মধ্যে নিবেদিতা হয়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন।
ভারতে মার্গারেট থেকে নিবেদিতা:
বিবেকানন্দের আধ্যাত্বিকতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল ১৮৯৮ সালের ২৮শে জানুয়ারি স্বদেশ ত্যাগ করে চিরকালের জন্য ভারতবর্ষে চলে আসেন। মার্গারেটের তৎপরবর্তী জীবন সার্থকভাবে পূর্ণবিকশিত হয়েছিল নিবেদিতা হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে। ভারতে আসার অব্যবহিত পরে তিনি স্বামীজির কাছে ভারতভূমির মহান ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদি শিক্ষা করতে থাকেন।
এই শিক্ষার মধ্যে দিয়েই একজন বহিরাগত বিদেশিনী থেকে আদ্যন্ত ভারতীয় হয়ে ওঠার পথে তার যাত্রা শুরু হয়। ভারতে আসার কিছুদিন পর স্বামীজীর গুরুমা তথা শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের সহধর্মিনী সারদা দেবীর সঙ্গে মার্গারেটের সাক্ষাৎ হয়। এর কিছুদিন পর স্বামীজি ২৫শে মার্চ নাগাদ তাকে ব্রহ্মচর্য মতে দীক্ষা দেন। ভারতের প্রতি নিবেদিত প্রাণ মার্গারেটের নতুন নাম হয় নিবেদিতা।
তখন থেকেই স্বামীজি নিবেদিতাকে ভারতে বিভিন্ন প্রকার সমাজকর্মের জন্য প্রস্তুত করছিলেন। এরপর ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে স্বামীজীর মৃত্যু হলে সমাজের প্রতি নিবেদিত প্রাণ প্রকৃত একজন সন্ন্যাসিনীর মতন নিবেদিতার ভারতীয় সমাজ জীবন শুরু হয়।
স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারে অবদান:
ভগিনী নিবেদিতার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল যে ক্ষেত্রে সেটি হল স্ত্রী শিক্ষা বিস্তার। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যে প্রচেষ্টা ভারতের মাটিতে শুরু করেছিলেন নিবেদিতা নিজের একান্ত উদ্যোগে ভারতীয় শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র কলকাতায় তাকে এক অনন্য রূপদান করেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এদেশের মেয়েরা লেখাপড়া না শিখলে সমাজের প্রকৃত মুক্তি কোনদিন সম্ভব নয়।
সেজন্যেই উত্তর কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে ১৬ নম্বর বোসপাড়া লেনে নিজ বাসভবনে নিবেদিতা একটি মেয়েদের স্কুল খোলেন। এই স্কুলটি বর্তমানে রামকৃষ্ণ সারদা মিশন ভগিনী নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় নামে সুপরিচিত। প্রথমদিকে এই স্কুলে ছাত্রীদেরকে নিবেদিতা নিজের খরচায় পড়াতেন। পরবর্তীকালে ছাত্রী সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকলেও তিনি হাল ছাড়েননি। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি মেয়েদের প্রচলিত জীবনধারার সার্বিক মানোন্নয়নেরউ উদ্দেশ্যেও তিনি কাজ শুরু করেছিলেন।
জাতীয়তাবাদের প্রসারে অবদান:
স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি পরাধীন ভারতের জাতীয়তাবাদ এবং বিপ্লববাদের প্রসারের ক্ষেত্রেও নিবেদিতার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। তিনি প্রকাশ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করতেন, এবং গোপনে বিভিন্নভাবে ভারতীয় বিপ্লবীদের সাহায্য করতেন। একটি জাতির মুক্তির জন্য সেই জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির প্রয়োজনীয়তা তিনি সর্বদিক থেকে উপলব্ধি করেছিলেন।
১৯০৫ সালে বাংলার বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ও আড়াল থেকে নিবেদিতা বিপ্লবীদের সাহায্য করেছিলেন। এই সময়েই অরবিন্দ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জগদীশচন্দ্র বসু প্রভৃতি বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে তার পরিচিতি ঘটে। বিপ্লবীদের সাহায্য করার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদের প্রসারের উদ্দেশ্যেও তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নানা অনুপ্রেরণামূলক প্রবন্ধ রচনা করতেন।
স্বাভাবিকভাবেই তৎকালীন বৃটিশ সরকারের রোষানল তার উপর গিয়ে পড়ে। নিজের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের রক্তচক্ষুর প্রভাব যাতে রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর না বর্তায় সেজন্য রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গেও তিনি সকল প্রকার আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ত্যাগ করেন।
সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড:
নিবেদিতার জীবনে অপর একটি উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল ভারতের আর্তপীড়িত সমাজের সেবামূলক কর্মযজ্ঞে। এই দুঃখী সমাজের উদ্ধারকার্যে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করে ছিলেন সবকিছু দিয়ে। স্বামীজি বেঁচে থাকাকালীনই ১৮৯৯ সালে কলকাতায় প্লেগ মহামারী দেখা দিলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্লেগ দমনে উদ্যোগী হন।
এই উদ্দেশ্যে নিবেদিতা স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় আর্ত সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং রোগীদের সেবাশুশ্রূষা করেন। তাছাড়া মহামারী দমনের উদ্দেশ্যে তিনি নিজের হাতে রাস্তাঘাট এবং পল্লী পরিষ্কারের কাজও করেছিলেন।
রচিত গ্রন্থাবলী:
সমগ্র জীবনের অনন্য সাধারণ অভিজ্ঞতার দ্বারা নিবেদিতার জীবনে বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো ‘কালী দ্য মাদার’, ‘ওয়েব অফ ইন্ডিয়ান লাইভ’, ‘দা মাস্টার অ্যাজ আই শ হিম’ ইত্যাদি। এরমধ্যে ‘কালী দ্য মাদার’ বইটি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বিখ্যাত ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি আঁকেন।
এছাড়া ‘ওয়েব অফ ইন্ডিয়ান লাইভ’ বইতে নিবেদিতা ভারতীও রীতিনীতি এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে পাশ্চাত্যে গড়ে ওঠা নানা ভ্রান্ত ধারণাগুলি সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দেন। গ্রন্থ গুলি ছাড়াও তিনি নানা দৈনিক, সাপ্তাহিক, তথা মাসিক পত্রপত্রিকায় নিয়মিত সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে সমৃদ্ধ প্রবন্ধ রচনা করতেন।
সম্মাননা:
অতি স্বল্প সময়ের ভারতীয় জীবনে জীবদ্দশায় ভগিনী নিবেদিতা খুব বেশি সম্মাননা লাভ করেন নি। যদিও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতন ব্যক্তি তাকে লোকমাতা আখ্যা দেন। বিখ্যাত চিত্রকর নন্দলাল বসু তার নিজের চিত্রকলায় ভগিনী নিবেদিতার অনুপ্রেরণার কথা একাধিকবার স্মরণ করেছেন।
পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার ভগিনী নিবেদিতার সম্মানার্থে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। তামিলনাড়ু চেন্নাই শহরে নিবেদিতার প্রতিষ্ঠিত একাডেমিটি বর্তমানে সিস্টার নিবেদিতা একাডেমি নামে পরিচিত। তার কর্মভূমি বাংলার বিধান নগরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভবনটিও ২০১০ সালে ভগিনী নিবেদিতার নামে নামাঙ্কিত হয়েছে।
উপসংহার:
বিংশ শতাব্দীর পরাধীন ভারতবর্ষে ভগিনী নিবেদিতা ছিলেন একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ভগবান বুদ্ধের দর্শন দ্বারা উদ্বুদ্ধ এই নারী আত্মস্বার্থ ত্যাগ করে সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে ভারতবর্ষে এসে এখানকার সমাজের সার্বিক উদ্ধার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।
গ্রীষ্মপ্রধান আবহাওয়ার এই দেশে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে অচিরেই তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ১৯১১ সালে হাওয়াবদলের উদ্দেশ্যে জগদীশচন্দ্র বসুর পরিবারের সাথে তিনি দার্জিলিঙে বেড়াতে যান। ওই বছরেরই অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখ মাত্র ৪৪ বছর বয়সে স্বামী বিবেকানন্দের সুযোগ্য শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ভগিনী নিবেদিতা রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার।এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন:
স্বামী বিবকানন্দ রচনা