প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা [সঙ্গে PDF]

আধুনিক যুগে যখন বিশ্বায়নের প্রভাব পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে আমাদের ঘরের অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে তখন বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির ব্যাপক গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না। বিজ্ঞান হল সভ্যতার কাছে এক প্রকার আশীর্বাদস্বরূপ। আর প্রযুক্তি সেই আশীর্বাদের সবচেয়ে বড় উপহার। এই প্রযুক্তি ব্যতীত বিশ্ব যেন একপ্রকার অচল। সমগ্র বিশ্ব যে প্রযুক্তির ওপর কতখানি নির্ভরশীল তা নিয়ের আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা।

প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা

ভূমিকা:

সভ্যতার সূচনা কাল থেকে আধুনিক যুগের প্রারম্ভ পর্যন্ত সভ্যতার অগ্রগতিতে যে স্থির ও মন্থর গতিময়তা ছিল, অগ্রগতির সেই সংজ্ঞা সম্পূর্ণ বদলে যায় উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আধুনিক প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে। প্রযুক্তি হল মানব সমাজের উপর বিজ্ঞানের সেই আশীর্বাদ যাকে রূপকথার প্রদীপের দৈত্যের মতো কাজে লাগিয়ে অতি সহজেই অত্যন্ত কঠিন কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি ছাড়া এক মুহুর্তও কল্পনা করা যায় না। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির চরিত্রগত তালিকা বহুমুখী ও দীর্ঘ হয়েছে। এই তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে বৈপ্লবিক সংযোজনটি হলো তথ্যপ্রযুক্তি।

Responsive Advertisement
মাধ্যমিক সাজেশন 2024
মাত্র 592 টাকায় সব বিষয়
Product Image Buy Now

সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য বিশ্বনবী বিস্তারিত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা বিকল হয়ে গেলে পৃথিবী যে ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। প্রযুক্তির ওপর আধুনিক সভ্যতার এহেন নির্ভরতা প্রযুক্তিকে অচিরেই বর্তমান যুগের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।

জীবনযাত্রায় প্রযুক্তির প্রবেশ:

মানুষের জীবনযাত্রায় প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটে শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী পর্যায় থেকেই। এই সময় থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে মানব শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা ত্যাগ করে যন্ত্রশক্তির ওপর নির্ভর করতে শুরু করে। এই নির্ভরশীলতার দরুন বিশ্বজুড়ে একদিকে কাজে যেমন অভূতপূর্ব গতি আসে, অন্যদিকে কাজ নির্ভুলভাবে সম্পাদিত হতে থাকে। এই দুইয়ের সংযোজনে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অগ্রগামী দেশগুলি অতি দ্রুত আর্থ-সামাজিকভাবে বিশ্বে এগিয়ে যেতে থাকে।

সময় যতই এগোয়, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির মহিমা সম্প্রসারিত হয় এবং মানব জীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটতে থাকে। গত শতকের সত্তরের দশক নাগাদ বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে এই প্রবেশ আরো দ্রুতগতিতে হয়। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতে আমরা আমাদের জীবনের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে প্রযুক্তি, বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ করি না।

ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ:

আমাদের রাজনৈতিক তথা আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা সর্বজনবিদিত। তবে এই প্রযুক্তির সবচেয়ে অধিক এবং বহুমুখী প্রয়োগ দেখা যায় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন দানের দ্বারা পূর্ণ হয়ে আছে। বর্তমানে ঘরে বসে আঙ্গুলের একটি মাত্র ছোঁয়ায় আমরা জানতে পারি বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যেকোন তথ্য।

Responsive Advertisement
মাধ্যমিক সাজেশন 2024
মাত্র 592 টাকায় সব বিষয়
Product Image Buy Now

দূরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা বর্তমানে আর আগের মতন সময়সাপেক্ষ নয়। আজ পৃথিবীর প্রান্তিক কোন অংশে উপস্থিত ব্যক্তির সাথে মুখোমুখি কথা বলা সম্ভব এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিরই সাহায্যে। আজ এর সাহায্যে আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারি ব্যক্তিগত জীবনের মূল্যবান তথ্যাবলী। জ্ঞান অর্জনও তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদে আজ আর আগের মতন পরিশ্রমসাধ্য নেই।

বিশ্বমানের জ্ঞান ইচ্ছেমতন আঙ্গুলের একটি ছোঁয়াতে হাজির হতে পারে আমাদের ঘরের আঙিনায়। তাছাড়া আধুনিক যুগে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মুহূর্তের মধ্যে আমাদের ব্যক্তিগত তথা অধিবিদ্যাগত জীবনে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান মুহুর্তের মধ্যে করে দিচ্ছে। 

ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব:

আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব এককথায় অপরিসীম বা বর্ণনার অতীত। দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগের ফলে মানুষের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা অত্যন্ত কম সময়ের ব্যবধানে আমূল বদলে যেতে শুরু করেছে। আজ থেকে মাত্র কুড়ি বছর আগে যা চিন্তা করাও একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব হতো না বর্তমানে মানুষ তা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের কাছে উন্মোচিত করছে এক অনন্ত সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথ। এর উপর নির্ভর করে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করছে প্রতিনিয়ত। এইভাবে একদিকে যেমন তথ্যপ্রযুক্তি অত্যন্ত সহজে বিভিন্ন জটিল কাজ সম্পাদনের সুযোগ করে দিচ্ছে অন্যদিকে মানুষের জীবনযাত্রার সার্বিক মানোন্নয়ন ঘটাচ্ছে।

প্রযুক্তির ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতার কুফল:

এ পৃথিবীতে কোন যুগান্তকারী আবিষ্কারই পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন হতে পারে না। প্রযুক্তিও তার ব্যাতিক্রম নয়। মানুষের জীবনে যুগান্তকারী নানা পরিবর্তন এনে দিলেও সামাজিক ও ব্যক্তিগত ভাবে প্রযুক্তির বিভিন্ন কুফল রয়েছে। প্রযুক্তির উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতার ফলে বর্তমান যুগে স্বাভাবিক সামাজিক বন্ধন ক্ষুন্ন হচ্ছে।

মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর অধিক নির্ভরতার ফলে হারিয়ে ফেলছে স্বাভাবিক মানবিক বুদ্ধিমত্তা। এছাড়া বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই বিকাশ ঘটছে সমাজের নানা অন্ধকার দিকের। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই বিশ্বজুড়ে মানব সভ্যতার ধ্বংসযজ্ঞের নানা জঘন্য পরিকল্পনা রচিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নানা ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র। যা পৃথিবীকে অচিরেই ঠেলে দিচ্ছে এক অতল অন্ধকার গহ্বরে।

উপসংহার:

বিভিন্ন খারাপ প্রভাব থাকলেও মানব সভ্যতার উপর প্রযুক্তি, বিশেষত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগান্তকারী প্রভাবকে অস্বীকার করা যায় না কোনোভাবেই। মানব সভ্যতা বর্তমানে যে উন্নতির শিখরগামী, তার বেশিরভাগটাই সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে।

প্রযুক্তি মানুষের কাছে উন্মোচিত করেছে অচেনা এক আকর্ষণীয় জগতের সিংহদরজা। সেজন্যই আমাদের সকলকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে কিভাবে প্রযুক্তির সকল কু-প্রভাবগুলিকে যথাসম্ভব এড়িয়ে একে মানব সভ্যতার উন্নতির মহাযজ্ঞে ব্যবহার করা যেতে পারে।


একই রচনা অন্যভাবে উপস্থাপন


ভূমিকা:

সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে মানুষ নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দৈনন্দিন জীবনকে সহজতর করে তোলার চেষ্টা করেছে প্রতিনিয়ত। মানুষের সেই প্রচেষ্টারই ফল হিসেবে উদ্ভূত হয়েছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তি হল বিজ্ঞানের কাছ থেকে পাওয়া মানুষের সেই আশীর্বাদ যা দৈনন্দিন জীবনকে প্রদীপের দৈত্যের মতন দিনদিন সহজ থেকে সহজতর করে তুলছে।

প্রাচীন যুগ থেকে ক্রমবিবর্তনের ধারায় প্রযুক্তিরও বিকাশ ঘটেছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে গত ২০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে প্রযুক্তির স্বকীয় চরিত্র অতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বর্তমান যুগে মানুষ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কার্য সম্পাদনের জন্য কোন না কোনভাবে আধুনিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।

প্রযুক্তি ছাড়া বর্তমানে আধুনিক সভ্যতার অস্তিত্ব একপ্রকার কল্পনাই করা যায় না। সেজন্য বর্তমান যুগে এই ব্যাপক ও বহুমুখী তাৎপর্যের কারণেই বিশ্বজুড়ে আধুনিক প্রযুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

বিশ্বে প্রযুক্তির ইতিহাস:

প্রযুক্তির ইতিহাস পৃথিবীর বুকে অত্যন্ত প্রাচীন। নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন উপাদানকে ব্যবহার করে জীবনের বিভিন্ন কার্যকে সহজতর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদি নির্মাণের কৌশলই হল প্রযুক্তি। সেই আদিম যুগে মানুষ যেদিন চাকাকে রূপ দিতে শিখলো, সম্ভবত সেই দিনই পৃথিবীতে প্রযুক্তির পথ চলা শুরু।

তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে মানুষের জীবন একটু একটু করে আবর্তিত হয়েছে প্রযুক্তির চক্রব্যূহে। সময়ের সাথে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনি এই ব্যবহারের বহুমুখীতাও বিস্তৃত হয়েছে। কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, যুদ্ধ প্রকৃতির মতন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন যন্ত্রাদি মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

আধুনিক প্রযুক্তি:

আধুনিক প্রযুক্তির সূচনাকাল ধরা হয় মোটামুটি শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময় থেকে। অষ্টাদশ শতাব্দীর অন্তিম লগ্ন বা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন আধুনিক আবিষ্কার বিশ্বের পটচিত্র অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বদলে দিতে শুরু করেছিল। উৎপাদন ক্ষেত্রে এর ব্যাপক প্রভাবের ফলে বিশ্ব সাক্ষী হয়েছে শিল্প বিপ্লবের। যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণে প্রযুক্তির অভাবনীয় প্রভাব সাবেকি যুদ্ধকৌশলকে আমূল বদলে দিয়েছে।

প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাওয়া এই যুদ্ধকৌশলে দু-দুটি মহাযুদ্ধের সাক্ষী দিয়েছে পৃথিবী। তাছাড়া যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার জীবন ও সমাজের প্রতি মানুষের সার্বিক আবেদনকেই পাল্টে ফেলেছে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আধুনিক বিশ্বের এই বিবর্তন প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এরপর পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব ঘটল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির; যাকে ব্যবহার করে সভ্যতার মূলগত চরিত্রই দিনের পর দিন বদলে যাচ্ছে। 

ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হলো কৃত্রিম গণক ব্যবস্থা বা আর্টিফিশিয়াল কমপিউটিংকে কাজে লাগিয়ে তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবস্থাপনা তথা বিতরণ-এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণের আধুনিক ব্যবস্থা। বর্তমান যুগে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ঘেরাটোপে আবদ্ধ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির তেমনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারের কথা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে উপস্থিত মানুষের সাথে অন্য প্রান্ত থেকে যোগাযোগ স্থাপন করা বর্তমানে সম্ভব হয় শুধুমাত্র এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে। তাছাড়া ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুহুর্তের মধ্যে ডিজিটালাইজড ভার্সনে পৃথিবীর যে কোন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব এই প্রযুক্তি দ্বারা। 
  • আধুনিক বিনোদন সংক্রান্ত বিষয়েও মানুষ বহুলাংশে তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। বিশ্বজুড়ে বর্তমানকালে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করা ও.টি.টি প্ল্যাটফর্ম গুলি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর নির্ভর করেই কাজ করে থাকে।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে জীবনের প্রয়োজনীয় তথ্য অতি সহজে সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও এমন বহু মাধ্যম তৈরি হয়েছে যেগুলি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং সুবিধাজনক।
  • তাছাড়া বর্তমানে যে কোন কিছু জানার জন্য আমরা যে ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকি তার মূল ভিত্তিও হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব:

বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের ব্যক্তিগত জীবন তথা সমাজ জীবনের প্রতি সার্বিক আবেদন এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে বহুলাংশে বদলে গিয়েছে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে বর্তমানে অত্যন্ত কম সময়ে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে উপস্থিত পরমাত্মীয়র সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবার ফলে বিশ্বজুড়ে চিঠির ব্যবহার প্রায় উঠে গিয়েছে।

মানুষের কাছে সময়ের মূল্য পূর্বের তুলনায় ক্ষীণ হয়েছে। এছাড়া তথ্যের সহজলভ্যতার ফলে শিক্ষার বিস্তার সহজ হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিনোদন সহজলভ্য হয়ে ওঠার কারণে সকলের কাছে এর বিস্তার সম্ভব হয়েছে।

এছাড়া তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সুরক্ষিত ভাবে সংরক্ষণ-এর ফলে মানুষ সংরক্ষণজনিত অপ্রয়োজনীয় চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছে। সর্বোপরি বহু মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভর করে নিজেদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে। এইভাবে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মসংস্থানের সুযোগকে আরো বিস্তারিত করেছে।

উপসংহার:

আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষত তথ্যপ্রযুক্তি হল মানুষের কাছে বিজ্ঞানের দ্বারা প্রাপ্ত এক আশীর্বাদ স্বরূপ। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে এর বহু ভাল প্রভাব যেমন রয়েছে, তেমনি বেশ কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। তাই সেই সকল খারাপ প্রভাবকে দূরীভূত করে আধুনিক এই প্রযুক্তিকে কিভাবে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা যায় সে দিকেই দৃষ্টি দেওয়া উচিত। সকল কুপ্রভাব দূর করে, সকল ভেদাভেদ ভুলে সভ্যতার সার্বিক উন্নতিকল্পে ব্যবহৃত হলে তবেই বিজ্ঞানের এই পরম আশীর্বাদ প্রকৃত সার্থকতা লাভ করবে।


প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার।এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন :

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি রচনা
ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা
করোনাকালে ই- লার্নিং এর ভূমিকা রচনা
Print Friendly, PDF & Email

রাকেশ রাউত

রাকেশ রাউৎ বাংলা রচনা ব্লগের নির্বাহী সম্পাদক। ইনি শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার। ইনি বাংলা রচনার সম্পাদকীয় দলকে লিড করেন। রাকেশ দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ বাংলা কনটেন্ট এডিটিং এর সাথে যুক্ত আছেন। ইনি বাংলা রচনা ছাড়াও নামকরণ এবং বাংলা জীবনীর মতো নামকরা সাইটের সম্পাদকীয় দলের একজন অন্যতম সদস্য।

2 thoughts on “প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা [সঙ্গে PDF]

  1. ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমানে আমাদের শিক্ষা প্রযুক্তি অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের আশা আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভবিষ্যতে আরো উন্নতির দ্বার প্রান্তে পোছাতে সফল হব।

Leave a Reply to MH Abdullah Al Mahmud Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্ট