প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রবন্ধ রচনা [সঙ্গে PDF]

স্বাধীন ভারতবর্ষ যে সমস্ত মহান ব্যক্তিদের কাঁধে ভর করে বাহ্যিক এবং আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে পৃথিবীর আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের একটি সম্মানীয় জায়গা করে নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। আজ ওনাকে স্মরণ করেই আমাদের আজকের উপস্থাপন প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রবন্ধ রচনা।

প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রবন্ধ রচনা

ভূমিকা:

পরাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন অনেক ধুমকেতুসম ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব হয়েছিল যারা ভারতবর্ষকে পরাধীনতার শৃংখল আবদ্ধ অন্ধকার থেকে মুক্তির আলো দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র স্বাধীনতা অর্জনই একটি দেশ কিংবা জাতির জন্য যথেষ্ট নয়। একটি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে সার্বিক কর্মের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে নিদর্শন স্থাপন করতে পারলে তবেই তার প্রকৃত সার্থকতা।

কোন জাতিকে সেই সার্থকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রয়োজন জিরো ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসেও তেমন নেতৃত্বের খুব একটা অভাব ঘটেনি। স্বাধীন ভারতবর্ষ যে সমস্ত মহান ব্যক্তিদের কাঁধে ভর করে বাহ্যিক এবং আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে পৃথিবীর আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের একটি সম্মানীয় জায়গা করে নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। 

জন্ম ও বাল্যকাল:

প্রণব মুখোপাধ্যায় জন্ম হয় ব্রিটিশ ভারতবর্ষে বাংলা প্রদেশে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ১১ই ডিসেম্বর। তার জন্মস্থানটি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার অন্তর্গত কিন্নাহার শহরের কাছে মিরাটি গ্রামে অবস্থিত। তাঁর পিতা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় এবং মায়ের নাম শ্রীমতি রাজলক্ষ্মী দেবী। পিতা-মাতার তিন সন্তানের মধ্যে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।

পিতা কামদাকিঙ্কর ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এমনকি পরাধীন ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে তিনি দশ বছরের জন্য কারারুদ্ধও হন। তার পিতা স্বাধীনতার পরবর্তী কালে জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। ছেলেবেলা থেকেই বাড়িতে কংগ্রেসী রাজনীতির পরিবেশ প্রণবের মনকে কংগ্রেসী রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট করে। 

শিক্ষাজীবন:

ছেলেবেলায় প্রণব মুখোপাধ্যায় নিজ বাসস্থান এর কাছাকাছি একটি স্থানীয় স্কুলে নিজের পড়াশোনা শুরু করেন। সেই সময় তিনি একজন সাধারন মানের ছাত্র ছিলেন বলে জানা যায়। বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে তিনি বীরভূমের সদর সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে ভর্তি হন। এই বিদ্যাসাগর কলেজটি সেই সময়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত ছিল।

স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে প্রথমে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ইতিহাস নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে এই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি একটি আইনের ডিগ্রিও লাভ করেন। প্রথাগত পড়াশোনা এখানে শেষ হলেও শিক্ষার অদম্য ইচ্ছা তাকে কোনদিনই থামতে দেয়নি। তিনি তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনের ফাঁকে ফাঁকে অজস্র বই পড়তেন বলে জানা যায়।

কর্মজীবন:

একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের ছেলে হয়েও প্রণব মুখোপাধ্যায় কিন্তু পড়াশোনা শেষ করে রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করেননি। তার কর্মজীবনের সূচনা লগ্ন অতিবাহিত হয়েছিল একজন কলেজ শিক্ষক রূপে। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আমতলার কাছে বিদ্যানগর কলেজে বেশকিছুদিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেছিলেন।

ইতিপূর্বে তিনি হাওড়া জেলার বাঁকড়ায় ‘বাঁকড়া ইসলামিয়া হাই স্কুলে’ও দু বছর শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়া কলেজ শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কিছুকাল একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছিলেন। জীবনের এই পর্যায়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় ‘দেশের ডাক’ নামে একটি পত্রিকার সঙ্গে কিছুদিনের জন্য যুক্ত হন। এমনকি রাজনীতি জীবনে প্রবেশের পরও কখনো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ট্রাস্টি কিংবা কখনো নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। 

রাজনীতিতে প্রবেশ:

রাজনীতির আঙিনায় স্বাধীনতা-উত্তর ভারতবর্ষের ধুমকেতুসম এই ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটে সমকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৯ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতে সাহায্য করেন। তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে প্রণব মুখোপাধ্যায় কংগ্রেসের অন্দরমহলে ততই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।

ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্তও প্রণব মুখোপাধ্যায় তার একজন বিশ্বস্ত সহকর্মী রূপে কাজ করে গিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে প্রথম তিনি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ক্যাবিনেটে মন্ত্রী হিসেবে স্থান পান। এছাড়া ১৯৮০ থেকে ৮৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার দলনেতা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রণব:

সারা জীবন কংগ্রেস সরকারের ক্যাবিনেটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্বের পদ অলংকৃত করলেও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সর্বাধিক কৃতিত্ব সম্ভবত দেশের অর্থমন্ত্রী রূপে। ১৯৮২ সালে প্রথম তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাবিনেটে জায়গা পান। মাত্র দু’বছর সময়কালের মধ্যেও তিনি এমন নিদর্শন স্থাপন করতে সক্ষম হন যে তাকে ১৯৮৪ সালে ইউরোমানি নামক একটি পত্রিকার সমীক্ষায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫ অর্থমন্ত্রীর মধ্যে অন্যতম শিরোপা দেওয়া হয়।

এই সময় তার মন্ত্রিত্বকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি ছিল ভারতবর্ষের জন্য বরাদ্দ আন্তর্জাতিক ঋণের বিপুল অংকের শেষ কিস্তিটি গ্রহণ না করা। ১৯৮৪’র পর আবার তিনি অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব লাভ করেন ২০০৯ সালে মনমোহন সিং এর নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর। এই সময়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পেশ করা বাজেটে গৃহীত বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে সমাদৃত হয়েছিল। 

বিদেশ বিভাগের মন্ত্রিত্ব:

অর্থমন্ত্রী ছাড়াও যে উল্লেখযোগ্য দপ্তরটি মন্ত্রী হিসেবে শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় অলংকৃত করেছেন সেটি হলো ভারতবর্ষের বিদেশ দপ্তর। ২০০৬ সালে প্রথম তাকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার সামলেছিলেন। বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের পক্ষ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি করেন।

এই প্রসঙ্গে ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তি এবং নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ছাড়াই অসামরিক পরমাণু বাণিজ্যের অনুমতি আদায় সংক্রান্ত চুক্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই চুক্তি দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্বে সমকালীন ভারতকে একটি সম্মানীয় জায়গা করে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় ছিল। 

ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য:

স্বাধীন ভারতবর্ষের যে কয়েকজন মানুষকে কিং-মেকার বলে অভিহিত করা হতো তাদের মধ্যে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন অন্যতম। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলে তার স্থান ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। দলীয় নেতা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী রাজনীতিতে যোগদান করলে প্রণব মুখোপাধ্যায় একজন বিশ্বস্ত পরামর্শদাতার মতন তাকে ভারতীয় রাজনীতি সম্পর্কে অবগত করে তোলেন।

এমনকি দলের অন্দরমহলে দুর্নীতি রোধ সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেবার ক্ষেত্রেও তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তার এই সকল বিশেষ কূটনৈতিক ভূমিকার কথা মাথায় রেখেই সংবাদমাধ্যমে বহু সময় তাকে ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য বলে অভিহিত করা হতো।

রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়:

সর্বপ্রথম ২০০৪ সাল নাগাদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম বিবেচনা করা হলেও জাতীয় ক্যাবিনেটে তার গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতার কথা মাথায় রেখে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য বিবেচনার তালিকা থেকে তার নামটি প্রত্যাহৃত হয়। অবশেষে ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। সেই বছর এনডিএ প্রার্থী পি এন সাংমাকে বিপুল ভোটে হারিয়ে তিনি ভারতবর্ষের ১৩তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নির্বাহী সময়ও প্রণব মুখোপাধ্যায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। তাকে ভারতবর্ষের একজন অন্যতম সক্রিয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনে করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তো বটেই, এমনকি কংগ্রেসের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় ছিল। 

ব্যক্তিগত জীবন:

ব্যক্তিগত জীবনে প্রণব মুখোপাধ্যায় বই পড়তে এবং বাগান করতে ভালোবাসতেন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে কলকাতার শুভ্রা মুখার্জীর সাথে তিনি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির সংসারে দুই পুত্র এবং এক কন্যার জন্ম হয়। সাধারণভাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন মৃদুভাষী এবং তুখোড় বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।

প্রাপ্ত সম্মাননা এবং পুরস্কার সমূহ:

সমগ্র জীবনব্যাপী অসংখ্য উল্লেখযোগ্য কর্মের জন্য তিনি বহু সম্মান এবং পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তন্মধ্যে ইতিপূর্বেই ইউরোমানি পত্রিকার দেওয়া শিরোপার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৮ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ দ্বারা ভূষিত করা হয়।

২০১০ সালে বিশ্ব ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের দৈনিক সংবাদপত্র ‘এমার্জিং মারকেটস’ তাকে ‘ফাইনান্স মিনিস্টার অফ দ্যা ইয়ার ফর এশিয়া’ পুরস্কারে সম্মানিত করে। ২০১১ সাল নাগাদ উল্ভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি লাভ করেন সাম্মানিক ডক্টর অফ লেটার্স ডিগ্রি। তাছাড়া ২০১২ সালে দেশেরই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে যৌথভাবে ডি.লিট ডিগ্রি দ্বারা সম্মানিত করে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকেও তিনি একাধিক পুরস্কার লাভ করেছিলেন। সর্বোপরি ২০১০ সালের ২৫শে জানুয়ারি দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন ভারত সরকার শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করে। 

উপসংহার:

ভারতবর্ষের এই কৃতী সন্তান ২০২০ সালের ৩১শে আগস্ট দিল্লির সেনা হাসপাতলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার দিল্লির বাড়ির শৌচাগারে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাতের কারণে স্নায়ুঘটিত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হন। সকলের যথেষ্ট প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

২০২০ সাল অন্যান্য নানা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মত প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও আপামর ভারতবাসীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। তবে আকাশে ধুমকেতু মিলিয়ে গেলেও তাদের মৃত্যু হয় না। তেমনি বাংলার এই কৃতী সন্তানের নামও চিরকাল ভারতবর্ষের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে। তিনি ইহলোক ত্যাগ করলেও আপামর ভারতবাসী তাকে আপন হৃদয়ে অমর করে রাখবে।


প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রবন্ধ রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো আপনার ব্যাক্তিগত মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার।এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম কমেন্ট করে জানান।দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন:

এ.পি.জে আবদুল কালাম রচনা
Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন