পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প রচনা [সঙ্গে PDF]

পর্যটন শিল্পের অনন্ত সম্ভাবনাময় দিকগুলির কথা মাথায় রেখে বর্তমানে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ বা রাজ্য আত্মকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়ে থাকে। আমাদের সকলের প্রিয় পশ্চিমবঙ্গও এর ব্যতিক্রম নয়। ইতিহাসের পরিহাস ও প্রকৃতির অসীম মায়ায় সেই অতীতকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পশ্চিমবঙ্গকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনার উদ্দেশ্যে উপস্থাপনা পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প রচনা

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প রচনা বৈশিষ্ট্য চিত্র

ভূমিকা:

বর্তমান যুগে পর্যটন শিল্প হল বিশ্বের অনন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প গুলির মধ্যে অন্যতম একটি। পর্যটন শিল্পের দ্বারা কোন একটি স্থান শুধুমাত্র যে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে তাইই নয়, বরং পর্যটন এমন একটি উদ্ভাবনী শিল্প সম্ভাবনা যা দ্বারা কোন একটি স্থানের বৌদ্ধিক তথা সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সমৃদ্ধি লাভও ঘটতে পারে।

পর্যটন শিল্পের এই সমস্ত দিকগুলির কথা মাথায় রেখেই বর্তমানে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ আত্মকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়ে থাকে। আমাদের সকলের প্রিয় পশ্চিমবঙ্গও এর ব্যতিক্রম নয়। এই সুবিশাল পৃথিবীর একটি কোনায় অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের পূর্ব দিকের একটি রাজ্য।

ইতিহাসের পরিহাস এবং প্রকৃতির অসীম মায়ায় সেই অতীতকাল থেকে এই ভূখণ্ডটি বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পশ্চিমবঙ্গকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনের উপস্থাপনা।

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন সম্ভাবনা:

ইতিহাস তথা প্রকৃতি এই দুইয়ের অকৃপণ দানে পূর্ণ আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। ভূ-প্রাকৃতিক ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে এই রাজ্য যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি ঐতিহাসিক নিদর্শনগত দিক থেকেও এর জুড়ি মেলা ভার। পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে একদিকে উত্তরে তাকালে দেখা যাবে সুউচ্চ হিমালয় পর্বতের শিবালিক অংশের সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণী, আর অন্যদিকে দক্ষিনে তাকালে চোখে পড়বে উত্তাল সমুদ্র বঙ্গোপসাগর।

এর পূর্বে একদিকে যেমন রয়েছে দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা, আবার পশ্চিমে রয়েছে বৈচিত্র্যময় মালভূমি অঞ্চল। এছাড়াও সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের প্রতিটি যুগের অসংখ্য অগণিত ঐতিহাসিক নিদর্শন।

তাই সব মিলিয়ে সৃষ্টিকর্তার অসীম আশীর্বাদে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পসংক্রান্ত সম্ভাবনা বিপুল। শুধুমাত্র এই সম্ভাবনাকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারলেই পশ্চিমবঙ্গের সর্বময় সমৃদ্ধির পথে সকল বাধা অতিক্রম করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গের স্থাপত্য বিষয়ক পর্যটন কেন্দ্র:

ইতিহাসের কল্যাণে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অসংখ্য উৎকৃষ্ট স্থাপত্যশিল্পে ভরপুর। তার কারণ ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পূর্ব সময় পর্যন্ত ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বাংলা।

১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পশ্চিমবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র কলকাতাই ছিল ব্রিটিশ ভারতবর্ষের রাজধানী। আবার ইতিহাসে আরো খানিকটা পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে মধ্যযুগে এই বাংলারই অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল নবাবী শাসনকেন্দ্র।

আবার সেই ইতিহাসের পিঠে ভর করেই ভারতবর্ষের প্রাক মধ্যযুগীয় বাংলার দিকে চোখ ফেরালে দেখা যাবে তৎকালীন বাংলা তথা ভারতবর্ষের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে কখনো গৌড় অধিপতি শশাঙ্ক কিংবা কখনো বাংলার সেন বংশকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি যুগে বাংলার প্রতিটি শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রিয় এই ভূখণ্ডে অসংখ্য স্থাপত্যকীর্তি রচনা করে গিয়েছেন।

ইতিহাসের বুকে সেই সকল স্থাপত্যকীর্তি অমর হয়ে রয়ে গিয়েছে। তাই কখনো মালদার গৌড়ে শশাঙ্কের কারাগার, কখনো বল্লাল সেনের ঢিবি, কখনো মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদ, কখনো বাঁকুড়া কিংবা বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দিরের কারুকার্য, আবার কখনো বা প্রাসাদ নগরী কলকাতার অমর স্থাপত্যকলা দর্শনের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে অগণিত পর্যটক প্রতিবছর বাংলার বুকে ভিড় করেন।

সমুদ্র সৈকত কেন্দ্রিক পর্যটন:

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ রয়েছে উত্তাল সমুদ্রের উন্মুক্ত প্রান্তর। পশ্চিমবঙ্গের এই অংশকে কেন্দ্র করেও পর্যটন শিল্প বিশেষভাবে বিকাশ লাভ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত বকখালি কিম্বা ডায়মন্ড হারবার থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর ইত্যাদি জায়গায় সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে থাকে।

এখানে সমুদ্রে টানে বছরের সব সময় পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। তাছাড়া সমুদ্রকে কেন্দ্র করে এইসব অঞ্চলে বিকাশ লাভ করা মৎস্য শিল্প এখানকার পর্যটন শিল্পে এক উপরি মাত্রা যোগ করেছে।

উত্তরবঙ্গ পর্যটন:

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরাঞ্চল পর্যটন শিল্প সম্ভাবনা দ্বারা ভরপুর। পৃথিবীর সকল পর্যটকদের কাছে পাহাড় অত্যন্ত প্রিয় একটি ভ্রমণ গন্তব্যে হিসেবে বিবেচিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল অর্থাৎ উত্তরবঙ্গ নামে সুপরিচিত অংশে একদিকে যেমন বিস্তার লাভ করেছে হিমালয় পর্বতের অন্তর্গত সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণী, অন্যদিকে তেমনি সেই পর্বতশ্রেণীর পাদদেশে গড়ে উঠেছে সবুজে মোড়া তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল।

এই পর্বতশ্রেণী এবং পর্বতের পাদদেশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে তিস্তা, তোর্সা মহানন্দা, রায়ডাক, জলঢাকা ইত্যাদির মতন নানা পাহাড়ি নদী। এই অপরূপ ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করেই বিকাশ লাভ করেছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প। এখানকার এই অপরূপ ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে সর্বপ্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ব্রিটিশদের। তারাই সর্বপ্রথম পাহাড়ের কোলে তাদের দেশের আদলে গড়ে তুলেছিল পাহাড়ি শহর দার্জিলিং।

এই দার্জিলিং শহরের সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রিটিশদের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল উৎকৃষ্ট সব চা বাগান। বর্তমানে এই দার্জিলিং শহর বিশ্ববাসীর কাছে পাহাড়ের রানী নামে পরিচিত। প্রতিবছর দার্জিলিং শহরকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পর্যটক উত্তরবঙ্গে ভিড় জমান। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ গন্তব্য হল কালিংপং, কার্শিয়াং, আলিপুরদুয়ার ইত্যাদি। 

প্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে ভরপুর সুন্দরবন:

পর্যটন শিল্প সংক্রান্ত সম্ভাবনার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম উল্লেখযোগ্য ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের কথা উল্লেখ না করলে প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রকৃতির অকৃপণ দানে অপরূপ মোহময়ী এই সুন্দরবন। সমুদ্র ও নদীর মোহনায় লবণাক্ত ভূমির ওপর এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের গহন অরণ্য।

সেই অরণ্যে বিকাশ লাভ করেছে ব্যাপক বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ। ভারতবর্ষের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বাসস্থান এই সুন্দরবন। তাছাড়া এই সুন্দরবনের বুক চিরে বয়ে চলা নদীগুলির বুকে ভ্রমণ পথে কখনো দেখা মেলে কুমিরের, কখনো আবার গাঙ্গেয় ডলফিনের। সর্বোপরি সুন্দরী, গরান, গেওয়া ইত্যাদি উদ্ভিদ দ্বারা বৈচিত্র্যে ভরপুর সুন্দরবনের প্রাকৃতিক শোভা কোনদিন ভোলার নয়।

১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ইউনেস্কোর তরফ থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তকমা পেয়েছে। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমান কখনো সুন্দরবনের নদী পথে, আবার কখনো বা অরন্যের বুকে।

তীর্থস্থান ভিত্তিক পর্যটন শিল্প:

শুধুমাত্র প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্রই নয়, পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন শিল্প বিকাশ লাভ করেছে এই রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য তীর্থ স্থানগুলিকে কেন্দ্র করেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হিন্দু ধর্ম পরম পবিত্র বলে বিবেচিত হওয়া শক্তিপীঠ গুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শক্তিপীঠ রয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে।

সেই প্রাচীনকাল থেকেই এই রাজ্যে তন্ত্র সাধনা, আধ্যাত্মিকতা চর্চার বিশেষ প্রচলন রয়েছে। এই ধরনের অতিপার্থিব চর্চাগুলিকে কেন্দ্র করেও পশ্চিমবঙ্গে গড়ে উঠেছে অসংখ্য তীর্থস্থান। এই স্থান গুলির মধ্যে তারাপীঠ, তারকেশ্বর, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, নবদ্বীপ প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।  এই সকল স্থানে বছরের সকল সময় অসংখ্য পুণ্যার্থী ভিড় করে থাকেন। 

বঙ্গীয় সংস্কৃতিমূলক পর্যটন:

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শুধুমাত্র স্থান ভিত্তিক সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ নয়। এই রাজ্যের মূল অধিবাসী বাঙালি জাতির সুসমৃদ্ধ সংস্কৃতি এখানকার পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম এক কেন্দ্রবিন্দু। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে বিকাশ লাভ করেছে বিবিধ বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। তা হতে পারে কখনো পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, কখনো বা মালদহ জেলার গম্ভীরা নৃত্য, কখনো গ্রাম বাংলার ভাটিয়ালি গান।

এছাড়া বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র কলকাতাতে সকল বঙ্গীয় সংস্কৃতির পূর্ণ মিলন ঘটার ফলে এই শহরে এক অদ্ভুত সুন্দর অনন্য মিশ্র সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করেছে। বছরজুড়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীর জীবনে সংস্কৃতির আমেজ যেমন লেগেই থাকে, তেমনি এই সংস্কৃতির মধুরস সাধনের জন্য পর্যটকদের আনাগোনাও লেগে থাকে।

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প বিকাশের উদ্যোগ:

পৃথিবীর অন্যান্য সকল দেশ বা অঞ্চলের মতোই পশ্চিমবঙ্গও আত্মকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য স্বাধীনতার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পর্যটকদের ভ্রমণের সময় যাতে কোনোরূপ অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য চালু হয়েছে ইমারজেন্সি হেল্প লাইন। তাছাড়া অতিসম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গকে সার্থকভাবে ভারতবর্ষের স্নিগ্ধতম অংশ হিসেবে প্রচার করে পর্যটন শিল্প প্রসারের প্রবণতাও লক্ষ্য করা গেছে। 

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব:

এ বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতোই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও পর্যটনশিল্পের সমূহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অসংখ্য পর্যটকদের আগমনের কারণে পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ মাত্রায় বৈদেশিক মুদ্রা লাভ করে। এই বৈদেশিক মুদ্রা কোন একটি দেশ বা রাজ্যের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

তাছাড়া প্রতিটি পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনকেন্দ্রকে ভিত্তি করে আবর্তিত হয় সংশ্লিষ্ট অঞ্চল গুলির মানুষের জীবন ও জীবিকা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পশ্চিমবঙ্গের শৈলশহর দার্জিলিং-এর মানুষরা নিজেদের জীবিকা অর্জনের জন্য মূলত নির্ভর করে থাকেন দার্জিলিংকে কেন্দ্র করে আগত পর্যটকদের উপর।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও পর্যটনশিল্পের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মানুষের মানসিক আদান প্রদানের ফলে পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক তথা সাংস্কৃতিকভাবেও সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধি অর্থ দিয়ে কেনা যায় না, তার জন্য একমাত্র ভরসা পর্যটনই। 

উপসংহার:

পর্যতন হল কোন একটি দেশ কিংবা অঞ্চলের ক্ষেত্রে সম্ভবত প্রথম সারির একটি শিল্প সম্ভাবনা। ভারতের স্নিগ্ধতম অংশ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও একথা একইভাবে প্রযোজ্য। তাই এই রাজ্যে পর্যটন শিল্পের পূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে পর্যটকদের জন্য যাবতীয় সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে এই রাজ্যের মানুষকেই।

নিজেদের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে নিজেদেরই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একমাত্র তবেই পর্যটন শিল্পের বিকাশের পথে সকল বাধা দূর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ তার স্বভাবোচিত গৌরবে গৌরবান্বিত হয়ে ভারতবর্ষের স্নিগ্ধতম অংশ হিসেবে পর্যটকদের কাছে চোখের মনি হয়ে থাকবে।


পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান। আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি সবার থেকে সুন্দর ও আপনার মনের মতো করে একটি রচনা তুলে ধরার। এখানে নেই এমন রচনা পাওয়ার জন্য রচনাটির নাম আমাদের কমেন্ট করে জানান। দ্রুততার সঙ্গে আমরা উক্ত রচনাটি যুক্ত করার চেষ্টা করবো। সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন