নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রবন্ধ রচনা [PDF]

সভ্য সমাজে বসবাস করতে আমাদের সমাজের কিছু রীতি নীতি অনুসরণ করতে হয়।এই সমস্ত রীতি নীতিই সমাজে অশান্তকর পরিবেশ সৃষ্টিতে বাঁধা দেয়।সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংঘাত মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ একান্ত প্রয়োজন। এ নিয়ে আজকের বিষয় নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ রচনা।

নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ রচনা বৈশিষ্ট্য চিত্র

ভূমিকা:

এই আশ্চর্য পৃথিবীতে সৃষ্টির সবচেয়ে উন্নত জীব মানুষ। সে সৃষ্টির অকৃপণ দানে নিজের মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করে উন্নত সভ্যতা গড়ে তোলে বর্তমানে নিজেই স্রষ্টা হয়ে উঠেছে। সেই আদিম যুগ থেকে সময়ের যত বিবর্তন ঘটেছে, সেই বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ তৈরি করেছে সমাজ, তৈরি হয়েছে জাতি, দেশ। সময় যত এগিয়েছে মানুষের মানুষের সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়েছে ততই।

কিন্তু একটু তলিয়ে ভাবলে প্রশ্ন আসে সৃষ্টির ঠিক কোন উপাদান দ্বারা মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য জীবের থেকে পৃথক হয়ে উন্নততর সমাজব্যবস্থার পথে এগিয়ে এলো! এই প্রসঙ্গে প্রচলিত প্রবাদ অনুসারে বলা যায় বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে আত্মার অন্তঃস্থলে মান এবং হুঁশের জাগরণই মানুষকে অন্যান্য জীবের স্বাভাবিক প্রাকৃতিক চরিত্র থেকে আলাদা করেছে।

এই প্রবাদের মর্মার্থকে একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে আত্মার অন্তস্থলে মান এবং হুঁশের জাগরণের ফলে মানুষের অন্তরাত্মায় সঞ্চারিত হয়েছে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের, যাকে আমরা একত্রে মানবতা বলে জানি। 

নৈতিকতা এবং নৈতিক শিক্ষা কি?

নৈতিকতার স্বরূপ অনুধাবনের জন্য সর্বপ্রথম নীতি কি তা বুঝতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে সমাজে দীর্ঘকালীন বিবর্তনের ফলে সকলের হিতের উদ্দেশ্যে তৈরি হওয়া জীবনচর্যার প্রাথমিক নিয়মাবলীই হল নীতি।একটি সমাজ যেমন সময়ের বিবর্তনে নিজস্ব নৈতিক আদর্শ গড়ে তোলে, তেমনি সেই সকল নৈতিক আদর্শ সংশ্লিষ্ট সমাজকে দৃঢ় ভাবে বেঁধে রাখতে সাহায্য করে।

কোন সমাজের সকল মানুষ যখন তিল তিল করে গড়ে ওঠা সেই সকল নিয়ম-নীতি সম্পর্কে অবগত ও শ্রদ্ধাশীল হয়, কেবলমাত্র তখনই একটি সুষ্ঠু আদর্শ সমাজ গড়ে উঠতে পারে। মানুষের মধ্যে সামাজিক নীতির এই সার্বিক উদ্ভাসকেই বলা হয় নৈতিক শিক্ষা বা নৈতিকতাবোধ।

মূল্যবোধের সংজ্ঞা:

অনেক ক্ষেত্রে নৈতিক শিক্ষা বা নৈতিকতাবোধকে মূল্যবোধের সঙ্গে সমার্থক বলে মনে করা হয়ে থাকে। তবে গভীরে গিয়ে চিন্তা করলে বোঝা যাবে নৈতিকতাবোধ এবং মূল্যবোধ এক নয়। মানব চরিত্রের এই দুটি উৎকৃষ্ট গুণ পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কিত হলেও সমার্থক প্রকৃতির নয়।

সমাজের বুকে তিল তিল করে গড়ে ওঠা নৈতিক আদর্শ পালনের মধ্য দিয়ে মানব চরিত্র ঠিক-ভুল, উচিত-অনুচিত সম্পর্কিত যে বোধ তৈরি হয় তাকেই মূল্যবোধ বলে। নৈতিক আদর্শের সুষ্ঠু অনুশীলন ছাড়া এই মূল্যবোধ গড়ে উঠতে পারে না। আর যদি কোনো মানুষের মধ্যে সামাজিক তথা মানবিক মূল্যবোধের সার্বিক বিকাশ ঘটে তাহলে সংশ্লিষ্ট সমাজে সেই মানুষ বিশেষ। আর পক্ষান্তরে মূল্যবোধহীনতা মানুষের জীবনকে ব্যর্থতার অন্ধকারে নির্বাসনের দিকে নিয়ে যায়।

বিশ্বজীবনে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের ভূমিকা:

বর্তমানে পৃথিবীর প্রযুক্তিগত চরিত্র আমূল বদলে গেলেও মানব জীবন ধারণের প্রাথমিক চরিত্র বিন্দুমাত্র বদলায়নি। তাই এখনও অপরিবর্তনীয় ভাবে পৃথিবী এখনো পরিচালিত হয় মানুষের মননের দ্বারা। সেই মননে যদি নৈতিক শিক্ষার দ্বারা পরিণতি প্রাপ্ত মূল্যবোধ অধিষ্ঠান না করে থাকে, তাহলে সমাজ কখনো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না। মানুষে মানুষে পারস্পারিক সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্কের দ্বারাই সমাজের আদর্শ চরিত্র বজায় থাকে।

কিন্তু মূল্যবোধহীন সমাজে মানুষে মানুষে পারস্পরিক সম্পর্ক কৃত্তিম যান্ত্রিকতায় পর্যবসিত হয়। তখন সেই সমাজ প্রচলিত নিয়ম-নীতি দ্বারা পরিচালিত হলেও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, সমাজের সর্বস্তরে মূল্যবোধের সার্বিক বিকাশ মানুষের মনকে সংকীর্ণ স্বার্থের গণ্ডি থেকে মুক্ত করে সৃষ্টির পরমাত্মার সাথে মানুষের অন্তরাত্মার সার্থক মিলন ঘটাতে সাহায্য করে। ফলে সমাজ হয়ে ওঠে সুন্দর ও শাশ্বত।

উপমহাদেশের ইতিহাসে মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা:

সমাজে মূল্যবোধের এই ব্যাপক গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরে আমাদের অতীতকালের মনীষীগণ মানুষের ছেলেবেলা থেকে নৈতিক শিক্ষা গ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছিলেন নৈতিক শিক্ষা ছাড়া মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের পূর্ণ বিকাশ ঘটবে না এবং মূল্যবোধহীন কোনো সমাজ অনাচারের স্বর্গরাজ্য।

সেকারণে প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী গুরুগৃহে শিক্ষা গ্রহণের সময় ভারতীয়দের পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি বৌদ্ধিক বিকাশের দিকেও নজর দেওয়া হতো। বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে পুঁথিতে লিপিবদ্ধ নীতিকথার সঙ্গে বাস্তব জীবনের সার্থক মিলন ঘটিয়ে দেওয়া হতো।

এছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নীতিমূলক কাহিনির মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষাদানের চেষ্টা করা হতো। এই বহুমুখী পদ্ধতির মধ্যে শিক্ষা জীবন যাপন করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের অন্তরাত্মায় মূল্যবোধের উদ্ভাস ঘটতো। প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যে নীতিশাস্ত্রের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে উপমহাদেশের প্রাচীন মনীষীদের এই পরম উপলব্ধির কারণেই।

আধুনিক সমাজে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ:

কালের বিবর্তনে সবকিছুই যেমন ক্ষয় হয় এক্ষেত্রেও তেমনই ক্ষয় হয়েছে মানুষের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতাবোধেরও। সভ্যতা যতই আধুনিক যান্ত্রিকতার দিকে এগিয়েছে মানুষের ভোগ মূলক লালসাও ততোই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এই লালসার বশবর্তী হয়ে মানব চরিত্র গঠনের প্রধান উপাদান রিপুরাজির সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে মানুষের মূল্যবোধের ধারণা।

এইভাবে মূল্যবোধ ধীরে ধীরে গৌণ হতে হতে মানুষের ব্যাপক ভোগ মূলক বাসনার নিচে চাপা পড়ে গিয়েছে। বর্তমান যুগে মানুষ অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করে আত্ম স্বার্থ চরিতার্থ করার দিকে। বলাবাহুল্য মূল্যবোধহীন সমাজে সেই আত্মস্বার্থের চরিত্র মূলত লালসামূলক এবং নীতি-নৈতিকতা বোধশুন্য হয়।

সমাজের নৈতিক মূল্যহীনতার কারণ:

বর্তমান সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ হীনতার কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট করে কোন একটি বিষয়কে চিহ্নিত করা যায় না। কারণ একজন মানুষ বা কোন সমাজের মূল্যবোধ যেমন একদিনে গড়ে ওঠে না, তেমনি একদিনে শেষও হয়ে যায় না। মূল্যবোধ গড়ে ওঠার মতন, মূল্যহীনতার বাতাবরণ গড়ে ওঠাও একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। এই দীর্ঘকালব্যাপী প্রক্রিয়াতে বিভিন্ন বিষয় এই বাতাবরণকে প্রভাবিত করতে পারে।

তবে সাধারণভাবে মূল্যবোধহীনতার প্রাথমিক কারণ হিসেবে নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা যায় মানুষের সর্বগ্রাসী লালসা ও ভোগের বাসনাকে। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ভগবান বুদ্ধ বলেছিলেন আকাঙ্খাই সকল দুঃখের কারণ। বর্তমান সমাজেও এই আকাঙ্খাই মানুষের সকল সমস্যার জন্ম দেয়।

এই আকাঙ্ক্ষা বা বাসনা থেকেই সৃষ্টি হয় লোভ, সেই লোভ জন্ম দেয় সংকীর্ণ স্বার্থের এবং সেই সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়েই সৃষ্টি হয় মূল্যবোধহীনতা। আধুনিক সমাজে যান্ত্রিকতা ও প্রযুক্তিগত উন্নতি যতই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, ততই মানুষের ভোগের বাসনাও বেড়ে চলেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সার্বিক মূল্যবোধহীন মানসিকতার পরিবর্তনও ঘটানো যাচ্ছে না।

নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়জনিত ফলাফল:

একটি নৈতিক শিক্ষাহীন সমাজে মূল্যবোধের ব্যাপক অবক্ষয় সেই সমাজ কে বিভিন্ন দিক থেকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করতে পারে। মূল্যবোধহীনতার তেমনই অসংখ্য ফলাফল ইতিমধ্যে আমরা সমাজে দেখতে পাচ্ছি। মূল্যবোধের অবক্ষয়জনিত ফলাফলগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গেলে সর্বপ্রথম বুঝতে হবে সমাজের এই হীন চরিত্রের উৎস হলো মানুষের লোভ।

এই লোভই বর্তমান সমাজে জন্ম দিয়েছে অনাচার, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি এবং বিধ্বংসী সন্ত্রাসের। প্রতিমুহূর্তে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে এসবের মূল্য চোকাতে হচ্ছে। সমাজের বর্তমান যুগে মূল্যবোধহীনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মানুষের মানুষের স্বাভাবিক পারস্পরিক সম্পর্কও আধুনিক সমাজের কৃত্রিম যান্ত্রিকতার বেড়াজালে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

নৈতিক শিক্ষার একান্ত অভাবের ফলেই বর্তমানে ভাইবোনের মধ্যে ভোগকেন্দ্রিক বিবাদ, পিতা-মাতার সঙ্গে বিবাদ ও সম্পর্ক ছেদ, সমাজের সর্বস্তরে নৃশংস সব ঘটনা ইত্যাদির মাত্রা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। 

সামাজিক অধঃগতি থেকে উত্তরণের উপায়:

আজকাল মানুষ যন্ত্রের মতন সম্পূর্ণ বাইনারি উপায় অবলম্বন করে সম্মুখীন হওয়া সকল সমস্যার সমাধান করতে চায়। এই পদ্ধতিতে কেবলমাত্র তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যাটির সমাধান হয়, কিন্তু কোন সমস্যার উৎস বা গোড়া পর্যন্ত না পৌছালে চিরতরে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।

বর্তমান যুগে সমাজে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তার অধিকাংশেরই উৎস লুকিয়ে আছে ক্রমবর্ধমান মূল্যবোধহীনতার মধ্যে। তাই মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের পুনর্বিকাশ ঘটাতে না পারলে কোন দিনই এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যাবে না; কেবল বিভিন্ন যান্ত্রিক নিয়মাবলী আরোপ করে সাময়িকভাবে এই সমস্যাগুলিকে ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে মাত্র।

মানুষের মনে মূল্যবোধের বিকাশ কে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে গেলে সর্বপ্রথম প্রত্যেকটি মানুষকে জীবনের প্রথম পর্যায় থেকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সেই নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যখন মানুষ যৌবনে প্রবেশ করবে তখন অন্তরে লুকিয়ে থাকা মূল্যবোধের বীজ অঙ্কুরিত হয়ে মানুষের মানবসত্ত্বার সার্থক বিকাশ ঘটবে। আর সার্থক মূল্যবোধসম্পন্ন অসংখ্য মানবসত্ত্বা দ্বারা যখন একটি সমাজ গড়ে উঠবে তখন অচিরেই সেই সমাজ থেকে সকল সমস্যা দূরীভূত হবে।

উপসংহার:

এ পৃথিবীতে প্রতিটি সৃষ্টির নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। কারণ ছাড়া যেমন কার্য ঘটে না, তেমনি পৃথিবীর কোন সৃষ্টিই প্রসঙ্গহীন নয়। জীবনে জন্মাবার পর পূর্ণ বিকাশের দ্বারা সত্যিকারের মানুষ হয়ে আপন জীবনের সেই উদ্দেশ্য অনুসন্ধানই মানব জীবনের পরম লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু মানুষের জীবন যদি মূল্যবোধহীন হয়, তাহলে পূর্ণ বিকাশের দ্বারা একজন সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটিই অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

জীবন তাহলে একটি গোলক ধাঁধায় পাক খেয়ে বেড়াবার মতই বিভ্রান্তিকর ও অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। আর একটি অর্থহীন জীবন পৃথিবীর কাছে বোঝা ভিন্ন অন্য কিছুই নয়। সেজন্য নৈতিক শিক্ষার অনুশীলনের মাধ্যমে আপন অন্তরাত্মায় মূল্যবোধের পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে মান এবং হুঁশের সার্থক সৃষ্টি দ্বারা জীবনের প্রসঙ্গ অনুসন্ধানই হোক মানব জীবনের মৌলিক লক্ষ্য।


নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রবন্ধ রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।আপনার একটি কমেন্ট আমাদের অনেক উৎসাহিত করে আরও ভালো ভালো লেখা আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় জন্য।বানান ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে ঠিক করে দেওয়ার সুযোগ করে দিন।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

“নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রবন্ধ রচনা [PDF]”-এ 1-টি মন্তব্য

ফাতেমা শীর্ষক প্রকাশনায় মন্তব্য করুন জবাব বাতিল