নারী শিক্ষার গুরুত্ব প্রবন্ধ রচনা [PDF]

খবরের কাগজ খুললেই দেখতে পাওয়া যায় নারী নির্যাতনের নিষ্ঠুর রোমহর্ষক কাহিনী। স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতি নারীকেই হতে হবে অগ্রণী।সংগ্রাম না করলে কারো হাতে কেউ অধিকার তুলে দেয় না।এই সংগ্রামের অন্যতম অস্ত্র শিক্ষা।তাই সমাজে নারী জাগরণের পটভূমি তৈরি করতে প্রয়োজন ব্যপক নারীশিক্ষা।এই নিয়ে আজকের বিষয় নারী শিক্ষার গুরুত্ব রচনা

নারী শিক্ষার গুরুত্ব প্রবন্ধ রচনা বৈশিষ্ট্য চিত্র

ভূমিকা:

এ বিশ্বসমাজ সাধারণভাবে মানবজাতির লিঙ্গ ভিত্তিক বিভাজন অনুযায়ী পুরুষ ও নারী এই দুটি ভাগে বিভক্ত। নারী ও পুরুষ উভয়েই এ পৃথিবীর তথা সৃষ্টির দুটি পরম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গটির সব সময় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে। একটি ছাড়া অপরটি কখনোই সম্পূর্ণতা লাভ করতে পারে না।

তাই সমাজ সৃষ্টির এই দুটি অপরিহার্য অঙ্গ স্কন্ধে ভর করেই উন্নতির পথে এগিয়ে যায়। সেই কারণেই নারী এবং পুরুষের মধ্যে কোন একটির উন্নয়ন ঘটলে সমাজের সার্বিক উন্নতি সাধিত হতে পারে না। সমাজের প্রকৃত উন্নতির জন্য প্রয়োজন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের সার্বিক উন্নয়ন।

উন্নয়ন বলতে মূলত এ ক্ষেত্রে শিক্ষাকে বোঝানো হয়ে থাকে। শিক্ষা হল মানব জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। শিক্ষা ছাড়া কখনোই একজন মানুষ, পুরুষ হোক বা নারী, মানসিকভাবে উন্নত হতে পারে না। সেই কারণে সমাজ তথা এ বিশ্বের অবগতির জন্য পুরুষের সাথে সাথে নারী শিক্ষারও একান্ত প্রয়োজন।

বিশ্বে নারীদের গুরুত্ব:

পৃথিবীতে নারীর অপরিসীম গুরুত্ব বর্তমান। নারী ছাড়া পৃথিবীতে সৃষ্টির অস্তিত্বকেই কল্পনা করা যায় না। নারী হলো সৃষ্টির প্রতীক। এ বিশ্বে নারী শরীর থেকে নতুন প্রাণ জন্ম নেয়। পুরুষ যেমন সমাজকে বাইরে থেকে টেনে নিয়ে যায়, নারী তেমন সমাজের অন্দরমহল থেকে সমাজকে অগ্রগতির দিকে প্রসারিত করে।

তাই নারী হলো ধারক আর পুরুষ বাহক। আমরা প্রত্যেক দিন ঘরে ঘরে নারীদের দেখি ঘরের সমস্ত খুঁটিনাটি সামলে নিয়ে সংসারের গতিকে সচল রাখতে। সেই নারীই আবার যখন সমাজের উচ্চতম পদে অধিষ্ঠান করে তখন সে অলংকৃত করে সমাজের বহিরাঙ্গকে।

সেই কারণে পৃথিবীর বহু জায়গায় বিভিন্ন সময়ে নারীদের নিয়ে যে অবহেলার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে অনতিবিলম্বে তা দূরীভুত হওয়া প্রয়োজন। ধারক উন্নত না হলে সমাজকে বহন করার ক্ষমতা পৃথিবীতে কারোর নেই। তাই বিশ্বে নারী সমাজের উন্নতি না হলে সমাজের সার্বিক উন্নতি কোনদিন সম্ভব নয়। 

ভারতীয় সমাজে নারী:

ভারতীয় সমাজে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই নারীরা বিশেষ মর্যাদার অধিকারিণী। আধ্যাত্মিকতার পীঠস্থান এই পবিত্র ভূমিতে নারীকে মাতৃ রূপে পূজা করা হয়ে থাকে। মধ্যযুগে ভারতবর্ষে সমাজে মর্যাদাগত দিক থেকে নারীর খানিকটা অবনতি হলেও এখনো নারীকে মাতৃ রূপে আরাধনা করার সংস্কৃতি সুপ্রচলিত রয়েছে।

নারীর এই মর্যাদাপূর্ণ স্থানের কারণে ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিভিন্ন সময় নানা মহীয়সী নারীর আবির্ভাব ঘটেছে। তারা ভারতের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এছাড়া ভারতের প্রতিটি ঘরের অন্দরমহল থেকে নারীরা ভারতীয় সমাজ তথা সংস্কৃতিকে প্রতিনিয়ত ভেতর থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই কারণে নারীদের অবদান ছাড়া মহান ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির কথা কল্পনাও করা যায় না।

নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা:

ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষা হল মানব জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ। জীবনে শিক্ষা দ্বারা সব কিছু অর্জন করা যায়। আবার শিক্ষা ভিন্ন জীবন অন্ধকারের অতলে নিমজ্জিত হয়। আবার অন্যদিকে নারী হলো বিশ্বে সৃষ্টির ধারণকারী অঙ্গ। সেই ধারক যদি জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ অর্থাৎ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্ধকারের অতল গহবরে নিমজ্জিত থাকে তাহলে সমাজ কোনদিন উন্নতি লাভ করতে পারে না।

এছাড়া নারীরা এখন সময়ের প্রয়োজনে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাইরের জগতে নিরলস কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছে। এই কর্মযজ্ঞে নারীদের অবদান আরো বাড়িয়ে তোলার জন্যও প্রয়োজন শিক্ষা। শিক্ষা দ্বারা পুরুষের মত নারীরাও নিজেদের কর্মদক্ষতাকে বাড়িয়ে তোলে সুদক্ষ কর্মী রূপে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

শিক্ষা প্রয়োগের ফলে নারী সমাজের উন্নতি দ্বারা সমগ্র সমাজের উন্নতির এমন নিদর্শন পৃথিবীতে কম নেই। বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন দেশ গুলি নারী শিক্ষায় ব্যাপকমাত্রায় বিনিয়োগ করার ফলে সেখানকার আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। সেখানকার নারীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের উন্নতিকল্পে আত্মনিয়োগ করেছে।

উপমহাদেশের ইতিহাসে নারীশিক্ষা:

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে নারী শিক্ষার এক সুপ্রাচীন এবং সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। অতি প্রাচীন কালে রচিত ভারতীয় দর্শনের আকর গ্রন্থ বেদের অনেক সূক্ত বা শ্লোক রচনা করেছিলেন সেই সময়ের শিক্ষিত নারীরা। প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ সামগ্রী থেকে জানা যায় সেই সময় পুরুষদের সাথে সাথে নারীরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পড়াশোনার কাজ করতেন।

এছাড়া প্রাচীন ভারতীয় স্মৃতিগ্রন্থ যেমন পরাশর সংহিতা, বৃহস্পতি স্মৃতি ইত্যাদি গ্রন্থাদিতেও নারীদের শিক্ষাদানের কথা বিশেষভাবে গুরুত্ব লাভ করেছে। বেদে আমরা লোপামুদ্রা, গার্গী, মৈত্রী, খনার মতন প্রাচীন ভারতবর্ষের নানা মহীয়সী নারীর উদাহরণ পেয়ে থাকি। তবে এই উদাহরণ গুলি আদপে পর্বতের চূড়া মাত্র। প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি যে বিপুল সমৃদ্ধি লাভ করেছিল, তার পেছনে লুকিয়ে আছে শিক্ষিত ভারতীয় নারী সমাজের বিপুল অবদান। 

পরাধীন ভারতে নারীর অবস্থান:

প্রাচীন যুগে ভারতে নারীদের অবস্থান গৌরবময় হলেও সময় যত এগিয়েছে ধীরে ধীরে সমাজে নারীর মর্যাদা ততই ক্ষুন্ন হয়েছে। সমাজের অন্দরে প্রবেশ করেছে নারী শিক্ষার বিষয়ে নানান কুসংস্কার। এই সকল অন্ধ সংস্কারগুলি নারী শিক্ষার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই বাধা অতিক্রম করে ভারতীয় সমাজ দীর্ঘদিন এগোতে পারেনি। অবশেষে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দেখা যায় ভারতীয় নারী সমাজ ডুবে গিয়েছে অজ্ঞানতার অন্ধকারে। নারী সমাজের অন্দরেও শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ব্যাপক অনীহা প্রবেশ করেছে।

তাছাড়া নারীর শিক্ষা গ্রহণের পথে প্রধান প্রতিকূলতা হিসেবে সমাজের অসংখ্য কুসংস্কার রয়েইছে। সমকালীন ভারতে এমন অন্ধবিশ্বাসও প্রচলিত ছিল যে শিক্ষিত নারী বিবাহান্তে স্বামীহারা হন। এছাড়া সৃষ্টির ধারক নারীদের প্রতি ঘরোয়া নিপীড়ন তো ছিলই। এ প্রসঙ্গে সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, বিধবার কঠোর জীবনযাপন ইত্যাদি বিষয়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়।

ব্রিটিশ ভারতে নারীশিক্ষার উদ্যোগের ইতিহাস:

নারী সমাজকে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে বার করে আনার জন্য সর্বপ্রথম প্রচেষ্টা শুরু হয় ব্রিটিশ ভারতেই। এ প্রসঙ্গে যে নামটি সর্বাগ্রে উল্লেখ করতে হয় তিনি হলেন শ্রী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ভারতীয় নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ ঐতিহ্যবাহী আধুনিকতাবাদী নামে খ্যাত বিদ্যাসাগর তার জীবন দিয়ে অনুভব করতে পেরেছিলেন নারী সমাজের উন্নতি না হলে জাতির মুক্তি কোনদিন সম্ভব নয়

সমাজের ধারক নারীদের যদি আমরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে রাখি, তাহলে সেই আলোর সুফল সমাজ কোন দিন ভোগ করতে পারবে না। এ কারণেই তিনি তাঁর সমগ্র জীবনব্যাপী নারী শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে কাজ করে গিয়েছেন। এছাড়া উল্লেখ করতে হয় হিতবাদী দর্শনের অন্যতম সমর্থক বেথুন সাহেবের কথা।

তার সার্বিক চেষ্টা এবং পৃষ্ঠপোষকতার দ্বারাই কলকাতার অন্যতম বৃহৎ এবং শ্রেষ্ঠ নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান বেথুন স্কুলটি স্থাপিত হয়েছিল। এছাড়া নারী শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রেবিবেকানন্দের সুযোগ্যা শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার একান্ত প্রচেষ্টার ফলেই কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে নারীশিক্ষার জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই বিদ্যালয়টি বর্তমানে নিবেদিতা স্কুল নামে সুপরিচিত।

স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে নারীশিক্ষা প্রসারের উদ্যোগ:

ব্রিটিশ ভারতের বিভিন্ন মহান ও মহীয়সী ব্যক্তিদের দ্বারা নারীশিক্ষা প্রসারের ঐতিহ্য ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পরও অক্ষুন্ন ছিল। বর্তমান স্বাধীন ভারতবর্ষ তার জন্মলগ্ন থেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছিল শিক্ষার দ্বারা নারী মুক্তি না ঘটলে দেশের উন্নতি কোনদিন সম্ভব নয়। সে কারণেই স্বাধীনতার পর থেকেই নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

একের পর এক আইন পাস করে, প্রকল্প শুরু করে নারীশিক্ষাকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হয়। এ প্রসঙ্গে বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর বয়স নির্ধারণের আইন, শিক্ষার জন্য উৎসাহদায়ক ভাতা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্প্রতি চালু করা কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সম্মানিত হয়েছে।

নারীশিক্ষা প্রসারের পথে চ্যালেঞ্জসমূহ:

স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং স্বাধীনতা উত্তর ভারতে নারী শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হলেও কাঙ্খিত ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি। তার প্রধান কারণ হলো একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও নারী শিক্ষার ব্যাপারে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্তরে প্রচলিত কুসংস্কার গুলি।

এছাড়া ভারতের ক্রমবর্ধমান লোক সংখ্যা এবং আর্থিক সচ্ছলতার অভাবকেও নারী শিক্ষার পথে বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। সর্বোপরি নারীদের ব্যাপারে ভারতের বিভিন্ন স্তরে প্রচলিত হীন মানসিকতাও নারী শিক্ষার প্রসারের পথে একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জস্বরূপ। এই সকল চ্যালেঞ্জগুলিকে অতিক্রম করতে না পারলে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ কখনোই সম্ভব নয়। 

আধুনিক বিশ্বের অগ্রগতিতে নারী:

আধুনিক বিশ্বের সর্বাত্মক অগ্রগতিতে নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমান যুগে নারীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পাড়ি দিচ্ছে সমুদ্রের অন্ধকার তলদেশ থেকে মহাকাশেও। নারীরা বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছে বড় বড় দেশ থেকে শুরু করে বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকেও। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে সেই সব দেশ থেকে শুরু করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এমনকি বড় বড় সংস্থাগুলিও ব্যাপক উন্নতির মুখ দেখছে।

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা, সুনিতা উইলিয়ামস প্রমুখের কথা উল্লেখ করতে হয়। এছাড়া ভারতবর্ষের বহু নারী বিদেশে ভারতের প্রধান রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ভারতের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে কিছুকাল আগে পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন অরুন্ধতী ভট্টাচার্য নামে একজন নারী। এই সকল নারীরা ভারতের গর্ব যাদের কাঁধে ভর করে বর্তমানে ভারতবর্ষ পৃথিবীর বুকে একটি অতি সম্মানীয় স্থান অর্জন করেছে।

উপসংহার:

দেশের উন্নতি, দশের উন্নতি তথা সমগ্র বিশ্ব সমাজের উন্নতি ঘটানোর জন্য নারী সমাজের শিক্ষিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। নারী ও পুরুষ এরা শারীরিকভাবে গঠনগত দিক থেকে পৃথক হলেও, সবার প্রথমে এরা মানুষ। একথা সত্য যে সমাজে নারী ও পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সেই ভূমিকাগুলি যথাযথভাবে পালনের জন্য পুরুষকে যেমন শিক্ষিত হতে হয়, নারীকেও তেমন সমানভাবে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হয়। সেই আলো থেকে নারীকে বঞ্চিত করে রাখলে সমাজের একটি স্তর চিরকাল অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকে যাবে। আর সমাজের কোন স্তরে চিররাত্রি বিরাজ করলে সমাজের সার্বিক উন্নতি সাধন অসম্ভব।


নারী শিক্ষার গুরুত্ব রচনাটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।আপনার একটি কমেন্ট আমাদের অনেক উৎসাহিত করে আরও ভালো ভালো লেখা আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় জন্য।বানান ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে ঠিক করে দেওয়ার সুযোগ করে দিন।সম্পূর্ণ রচনাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন