প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলির মধ্যে মোবাইল ফোন অন্যতম। মোবাইলের ব্যাবহার এখন শুধুমাত্র যোগাযোগতেই থেমে নেই, শপিং, ব্যাংকিং, অনলাইন পড়াশোনা, বিনোদন সব কিছুতেই মোবাইল ফোনের ব্যাবহার। আমরা যেভাবে ফোনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি তা আমাদের জীবনে কি প্রভাব ফেলছে, ভালো ও খারাপ সবদিক বিশ্লেষণ করে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় মোবাইল ফোন রচনা।
সূচি তালিকা
ভূমিকা:
মানব সভ্যতার সেই সূচনা লগ্ন থেকে মানুষ চেয়েছে অজানাকে জানতে, অদেখাকে দেখতে, আর অচেনাকে চিনতে। অন্বেষণ আর বিশ্লেষণের প্রবল বাসনার দ্বারা তাড়িত হয়ে মানুষের উন্নত মস্তিষ্ক নানা অত্যাশ্চর্য জিনিস আবিষ্কার করে সভ্যতাকে ইতিহাসের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে সবচেয়ে আধুনিকতম হল প্রযুক্তি বিজ্ঞান। বর্তমানকালে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের নতুন নতুন উপহারে আমাদের জীবন পরিপূর্ণ।
আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার আমাদের জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দের পরিধিকে বৃহৎ করেছে। এছাড়া এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এমন এমন রহস্যের দ্বার বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষের কাছে উন্মোচিত হচ্ছে যা একটা সময় অবধি ছিল অকল্পনীয়। সব মিলিয়ে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন আবিষ্কার মানব সভ্যতার মূল চরিত্রে এনে দিয়েছে আমূল পরিবর্তন।
প্রযুক্তির উপহার: মোবাইল
মানুষের এমন আদিমতম বাসনা গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো দূরকে নিকট করতে চাওয়া। আজ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতিতে মানুষের এই বাসনা পূরণ সম্ভব হয়েছে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। প্রযুক্তির অত্যাধুনিক আবিষ্কার গুলির মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হলো এটি। বর্তমানে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে।
মোবাইল ফোন ছাড়া বর্তমান বিশ্বের আধুনিক মানুষের এক মুহূর্তও অকল্পনীয়। ছোট্ট একটি যন্ত্র বিজ্ঞানের সাহায্যে আজ দূরকে করেছে নিকট; পৃথিবী কে এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। তাছাড়া আধুনিক বিশ্বের গতিময় জীবনে যখন পেশার তাগাদা আর পা মিলিয়ে চলার তাড়নায় ক্রমবর্ধমান একাকীত্ব সমাজের বুকে জাঁকিয়ে বসেছে তখন মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে আধুনিক মানুষের জীবনের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বন্ধু।
মোবাইল ফোনের ইতিহাস:
বিশ্বে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয় যোগাযোগ মাধ্যমের যন্ত্র মোবাইল বা মুঠোফোন উদ্ভাবনের সূচনালগ্নের পুনর্নির্মাণ করতে গেলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে বিগত শতকের সত্তরের দশকে। তৎকালীন সময়ে মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত দুজন প্রকৌশলী পৃথিবীর প্রথম সফল মোবাইল ফোনটি বানালেন। তারা হলেন মটোরোলার তৎকালীন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী মার্টিন কুপার ও জন ফ্রান্সিস মিচেল।
১৯৭৩ সালের ৩রা এপ্রিল প্রথমবার সফলভাবে একটি প্রায় এক কেজি বা দুই পাউন্ড মতো ওজনের, হাতে ধরা যায় এমন একটি ফোনের মাধ্যমে তারা পৃথিবীর প্রথম মোবাইল ফোনকল করতে সক্ষম হন। প্রথম পর্যায়ে মোবাইল ফোন মূলত জাহাজে বা রেলে রেডিও কমিউনিকেশনের মাধ্যমে পেশাগতভাবে ব্যবহার করা হতো। আবিষ্কারের প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর পর মোবাইল ফোনকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিছুদিনের মধ্যেই ১৯৮৩ সালে মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণটি বাজারে চলে আসে। সেই মোবাইল ফোনের মডেলটির নাম ছিল “মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স (DynaTAC 8000x)”।উক্ত মোবাইলটিতে কোনো ডিসপ্লে ছিলনা। এরপর মোবাইল ফোন ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। সময় এবং ব্যাবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মোবাইল ফোনও আরও অনেক উন্নত হয়েছে।
আধুনিক মোবাইল: সেকাল একাল
সময়ের সাথে সাথে মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীদের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের জীবনের প্রাথমিক স্বাচ্ছন্দ্যগত চাহিদাও। আর বিজ্ঞানের উন্নতির চাকায় ভর করে সেই ছোট ছোট চাহিদাগুলি মেটাতে সক্ষম হয়েছে মোবাইল ফোন। বর্তমানকালীন মোবাইল আর আগেকার অতিকায় আকারের মোবাইল সেলফোন নয়। তা আজকের দিনে আমাদের হাতের শুধুমাত্র একটি মুঠোয় বন্দি।
সূচনাকালে যে মোবাইল ফোনের ওজন ছিল প্রায় ১ কেজি, বর্তমানে সেই ওজন নেমে এসেছে খুব বেশি হলে মাত্র মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম এর মধ্যে। সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে বাজারজাতও হওয়া প্রথম মোবাইলটির যেখানে ডিসপ্লেমাত্র ছিল না, সেখানে আজ মোবাইল ফোন পৌঁছে গেছে টাচস্ক্রিন ফোল্ডেবল ডিসপ্লেতেও। প্রথম দিককার মোবাইল ফোনগুলির মাধ্যমে শুধুমাত্র ফোন কল ছাড়া আর কিছুই করা যেত না।
বর্তমানকালের মোবাইল ফোনের ব্যবহার এক সুবিস্তৃত পরিধির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমত ইন্টারনেট বিপ্লবের সাথে আধুনিক মোবাইল ফোনের মিশেলে মানুষের জীবনে ঘটে গেছে অভূতপূর্ব ডিজিটাল রেভোল্যুশন। অন্যদিকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রমাগত চেষ্টা চলেছে মোবাইল ফোনের ব্যবহারকে আরও বেশি উন্নত এবং বহুমুখী করার।
শ্রেণীবিভাগ:
মোবাইল ফোন সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে বর্তমান সময়ের সাপেক্ষে মোবাইল ফোনের শ্রেণীবিভাগ এবং তার বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করা দরকার। প্রথমেই আমাদের মনে রাখতে হবে আজকের মোবাইল ফোন আদপে কম্পিউটার বা গণক যন্ত্রের ক্ষুদ্র একটি সংস্করণ।
সাধারণ কম্পিউটারের মতোই একটি মোবাইল ফোন সাধারণ হিসাব করতে পারে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কম্পিউটারের মতোই ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করা যায়। এই সকল চরিত্র গুলি মাথায় রেখেই মোবাইল ফোনকে মোটামুটি দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা: ফিচার ফোন এবং স্মার্ট ফোন।
- ফিচার ফোন হল সেই সকল কিপ্যাড যুক্ত ফোন যার দ্বারা কেবলমাত্র টেলিযোগাযোগ ছাড়া ছোটখাটো হিসাব-নিকাশ এবং বার্তালাপ করা যায়। ইন্টারনেট সংযোগ বা মাল্টিমিডিয়া ইউসেজ এর মতন ব্যাপক সুবিধা এই ফোন গুলিতে থাকেনা।
- অন্যদিকে স্মার্টফোন হল সেই সকল আধুনিক ফোন যার দ্বারা আধুনিক মোবাইল ফোনের সকল প্রকার সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার থেকে শুরু করে ইন্টারনেট সংযোগ সবই এই সকল ফোনগুলির দ্বারা ব্যবহার করা যায়। মূলত এই ধরনের আধুনিক মোবাইল গুলি টাচস্ক্রিন সুবিধা যুক্ত হয়ে থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
স্মার্টফোন হোক কিংবা ফিচার ফোন সকল প্রকার মোবাইলেরই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে। বৈশিষ্ট্যগুলি মোবাইলটির গুণগতমানের দিক থেকে উন্নত বা অনুন্নত হতে পারে, তবে সেগুলির প্রাথমিক চরিত্রে খুব একটা বদল ঘটে না।
- প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনেরই একটি রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকে। এই ব্যাটারি ফোনটির প্রয়োজনীয় তড়িৎ শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
- দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেকটি মোবাইলে থাকে নিজস্ব একটি ইনপুট পদ্ধতি যার দ্বারা ব্যবহারকারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনটির পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া সম্ভব হয়। এই ইনপুট ইউনিটের মাধ্যমে ব্যবহারকারী মোবাইলকে ক্রিয়াগত নির্দেশ দিতে পারে।
- তাছাড়া প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনে তার আবশ্যিক অংশরূপে থাকে সাধারণ ফোন কল এবং বার্তালাপ এর জন্য প্রয়োজনীয় এন্টেনা সংযোগ ব্যবস্থা এবং সিম কার্ড সংযোগ এর সুবিধা।
- সর্বোপরি প্রত্যেকটি মোবাইলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকে ফোনটির নিজস্ব একটি স্বতন্ত্র আইএমইআই নম্বর। এই নম্বরটির ধারা নির্দিষ্ট কোন মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করা যায়।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রসার:
বর্তমান যুগে সন্দেহাতীতভাবে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আবিষ্কার হল মোবাইল ফোন। দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এর ব্যাবহারকারীদের সংখ্যা। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়নেরও বেশি হয়ে গেছে।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার এখন আর সমাজের নির্দিষ্ট কোন স্তরে সীমাবদ্ধ নেই। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছেই মোবাইল ফোন আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথা প্রয়োজনীয় বস্তু। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সব পরিবারেই মোবাইল ফোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজনীয় ও আকর্ষণীয় সকল সুবিধা সমাজের সব স্তরের মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। ভবিষ্যতে মোবাইল ফোনের ব্যাবহার আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল:
কেবলমাত্র যোগাযোগ মাধ্যমে বিপ্লব ঘটনার মধ্য দিয়ে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হলেও আজ তার ব্যবহার বহুমুখী। বর্তমানকালে বিশেষ করে ইন্টারনেট রেভোল্যুশনের পর ফিচার ফোনের ব্যবহার প্রায় লুপ্ত হতে বসেছে এবং তার জায়গা ব্যাপক ভাবে দখল করে নিচ্ছে অত্যাধুনিক স্মার্ট ফোন। এই সকল স্মার্টফোনের মাধ্যমে মানুষ বহু কাজ অত্যন্ত সহজে সম্পাদন করতে পারছে।
এক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় স্মার্টফোনের অত্যাধুনিক মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমের কথা। আজ কেবলমাত্র একটি মোবাইল এর মাধ্যমে এফএম রেডিও শোনা, ছবি তোলা, তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখা, ভিডিও দেখা, গান শোনা ইত্যাদি কাজগুলি করা যায়। তাছাড়া মোবাইল ফোনের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ ঘটলে নিমেষের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যেকোন তথ্য চলে আসতে পারে হাতের মুঠোয়।
ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন যাতায়াত মাধ্যমের টিকিট কাটা, পড়াশোনা এমনকি দোকান বাজারের মতন গুরুত্বপূর্ণ দৈনন্দিন কাজগুলিও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে সহজে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। এগুলি ছাড়াও মোবাইল ফোন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সংস্থান করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মোবাইল ব্যাবহারের কুফল:
মোবাইল ফোনের ব্যাবহার আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ ও আরামদায়ক করে দিয়েছে তাতে সত্যিই সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু সবকিছুরই ভালো দিকের সাথে সাথে কিছু খারাপ দিক থাকে। মোবাইল ফোনও তার ব্যতিক্রম নয়।
বর্তমান যুব সমাজ আজ মোবাইল ফোনের প্রতি অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে একজন কলেজের ছাত্র দিনে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যাবহার ছাত্র সমাজকে বিপথগামী করছে।
এছাড়াও মোবাইল ফোনের আতিরিক্ত ব্যাবহার অনেক রকম শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন – দৃষ্টি শক্তির সমস্যা, স্নায়ুর সমস্যা, মানসিক চাপ, ব্যাক পেইনের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত ইত্যাদি। বিভিন্ন আধুনিক গবেষণায় প্রমাণ হচ্ছে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিওঅ্যাক্টিভিটি দ্বারা মানুষের শরীরে দানা বাঁধতে পারে ক্যান্সারের মতন মারণ রোগও। সমাজের চরমতম অভিশাপ হিসেবে দেখা দিতে পারে জিনগত সমস্যা এবং বন্ধ্যাত্ব। এসকল শারীরিক সমস্যা ছাড়াও মোবাইল ইন্টারনেট জগতে সমাজ আজ সম্মুখীন হচ্ছে বহুপ্রকার নিত্যনতুন সাইবার ক্রাইমের।
উপসংহার:
সবশেষে বলা যায়, মোবাইল ফোনের মতো একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ভবিষ্যতে মানব সভ্যতার সার্বিক উপকারে নাকি অপকারে আসবে তা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে ব্যাবহারকারীদের চিন্তাভাবনাগত দৃষ্টিভঙ্গির উপর। তবে একথা অস্বীকারের কোন জায়গাই নেই যে এটি হলো বিগত শতাব্দীতে বিজ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ দান।
কিছু খারাপ মানুষ মোবাইল ফোনের অপব্যাবহার করলে, সম্পূর্ণ মোবাইল ফোনের ব্যবহারকে ক্ষতিকারক বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। সমাজ জীবনে খারাপ এর পাশাপাশি এর ব্যাবহারের ভালো দিকটিও কোনমতেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আশা করা যায়, পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় বন্দি করা মোবাইল ফোনের যুগোপযোগী বিবর্তন বিশ্বকে আরও অনেক উন্নত ও সমৃদ্ধ করবে এবং আমরা আমাদের জীবন, সমাজ তথা সভ্যতা সম্পর্কে সার্বিকভাবে আরো অনেক বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠব।
“মোবাইল ফোন” রচনাটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর পড়ুন
প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব রচনা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা
ধন্যবাদ, অনেক সুনদর লিখেছেন।